ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নোয়াখালীর শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রয়োজন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

নোয়াখালীর শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে। জেলার শিক্ষা উন্নয়নে আমাদের সর্বস্থরের জনগণকে সাথে নিয়ে একটি পরিকল্পনা নেওয়া জরুরি। জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন মানুষরা এইগুলো নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। আমরা আশা করি আমাদের জেলায় ১০০% শিক্ষার হার করা সম্ভব। তবে এর জন্য প্রয়োজন আমাদের একটি সুষ্ঠ, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। শুধু তাই নয়, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমাদের জেলার সামাজিকভাবে গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নাগরিক কমিটি গঠন করা যেতে পারে। তাছাড়া প্রত্যেক সংসদ সদস্য যদি নিজেদের নির্বাচনী এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে একটি বাৎসরিক পরিকল্পনা গ্রহন করে, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা মুখি করতে পদক্ষেপ নেয় তাহলেও এটি ব্যপক উপকারে আসবে। এর বাহিরের আমাদের নিচের বিষয়গুলোর উপর জোর দেওয়াটা জরুরি বলে মনে করছি।

যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া যায়ঃ

১।  জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে একজন নাগরিক শিশু শ্রেণী থেকে উচ্চশিক্ষা জেলাতেই পায়। অর্থাৎ শহরমুখি না হয়েও উচ্চশিক্ষার শেষ করতে পারে। উচ্চশিক্ষার জন্য একটি সকরকারি /বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য লবিং, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় উদ্ধুত করতে পারলে আমাদের এই উদেশ্র সফল হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠলে আমাদের অনেকগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে

২। মাননীয় সদস্যগণ  নিজ নিজ সংসদীয় এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত মনিটরিং করলে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত হবে।

৩।  নিজ নিজ সংসদীয় আসনের যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানে সরকারি অনুদানে শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করলে ছাত্র-ছাত্রীরা সংস্কৃতিমনা হবে।

৪। মেয়েরা যাতে নির্বিঘ্নে স্কুল-কলেজে যেতে পারে সেজন্য বখাটেদের আড্ডার স্থানগুলো চিহিৃত করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করাটা জরুরি। এতে করে নারীরা শিক্ষা থেকে অকালে ঝরে পড়বে না।

৫। নিজ নিজ আসনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কারচুপি রোধ করে যথাযথ প্রকল্পে ব্যয় নিশ্চিত করতে সংসদ সদস্যরা কাজ করাটা জরুরি।

৬। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যারল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য জেলায় আধুনিক ও মানসম্মত  “পাবলিক লাইব্রেরী”  তৈরি করাটা সময়ের দাবি।

৭। শিক্ষায় উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে প্রাইমারি,জুনিয়র ও সেকেন্ডারি পরীক্ষায় কৃতি ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে “মেম্বার অব পার্লামেন্ট স্কলারশীপ” প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারলে সেটা আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি আলোড়ন সৃষ্টি করবে। যেটি তাদেরকে পড়াশুনায় আগ্রহী করে তুলবে।

৮। নোয়াখালীতে সরকারি ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য জেলার সকল সংসদ সদস্য যৌথভাবে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। তাছাড়া আমাদের সামাজিক ব্যক্তিবর্গ ও সরকারের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ে অবস্থানকারী ব্যক্তিবর্গ এটি নিয়ে কাজ করতে পারে।

৯। মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক হোস্টেল গড়ে তুলতে পারলে অজো পাড়াগাঁ থেকে মেয়েরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য আগ্রহী হবে।