ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজ কোনটি? নিশ্চয়ই আপনার মনে টাইটানিকের ছবি ভাসছে। এই জাহাজের আভিজত্য সম্পর্কে প্রায় সবারই ধারণা রয়েছে। তবে সে পুরানো কথা। এবার পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজ হিসেবে আলোচিত হয়েছে ‘হারমনি অব দ্য সিস’ । কী রয়েছে এই বিশাল জাহাজটিতে? আপনি যদি বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই জাহাজ ‘হারমনি অব দ্য সিস’কে যদি কেও ভাসমান মহানগরী বলেন তাতেও ভুল হবে না। কারণ হলো বিশ্বের এ পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে বড় এবং ভারী জাহাজে এটি। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন বন্দর হতে চোখ ধাঁধানো ‘হারমনি অব দ্য সিস’ জাহাজের উদ্বোধন করা হয়।

সমূদ্রের মাঝে একটি অভিজাত্য সাম্রাজ্যের ন্যায় ‘হারমনি অব দ্য সিস’। কি নেই জাহাজটিতে। এতে প্রবেশ করলে আপনি স্বপ্নের জগতে হারিয়ে যাবেন মুহূর্তেই। ভূমধ্যসাগর কিংবা ক্যারিবিয়ানে ছুটিতে সর্বোচ্চ বিনোদন দিতে এই জাহাজটিতে আয়োজনের কোনো কমতি রাখেনি কর্তৃপক্ষ। ১ হাজার একশো ৮৭ ফুট লম্বা এবং ২শ’ ৩০ ফুট উচ্চতার জাহাজটি ৫ হাজার ৫৫১ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। এতে ২ হাজার ৭৫৯টি স্টেটরুম রয়েছে। সেইসঙ্গে ২৮টি বারান্দা রয়েছে যেন ঘরেই বসেই যাত্রীরা সাগরের সৌন্দর্য্য উপভোগ তরতে পারে। এই জাহাজে দ্বিতল ঘরানার ফ্যামিলি স্যুট যেখানে বেডরুমসহ ড্রয়িং এমনকি বাচ্চাদের রুম ও খেলার জায়গা রয়েছে।

২০১৩ সালে শুরু হয় জাহাজটির নির্মাণকাজ। এটি নির্মাণে সময় লেগেছে তিন বছর। মোট আড়াই হাজার শ্রমিক জাহাজটি নির্মাণে কাজ করেছেন। ‘হারমনি অব দ্য সিস’ জাহাজটি রয়েল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল নৌবহরের ২৫তম জাহাজ এটি। জানা গেছে জাহাজটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৭০ কোটি পাউন্ড। এই জাহাজের বিশেষত্ব হলো যাত্রী ধারণক্ষমতা। বিশ্বের সর্বাধিক যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ভ্রমণ জাহাজ হলো এই ‘হারমনি অব দ্য সিস’। বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জেট এয়ারবাস এ৩৮০-তে সিটের সংখ্যা ৫২৫টি। তুলনা করলে বলা যায়, ‘হারমনি অব দ্য সিস’ তার চেয়েও দশগুণ বেশি যাত্রী বহন করতে সক্ষম। দ্রুততার দিক হতে জাহাজটি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারবে।

‘হারমনি অব দ্য সিস’ এ রয়েছে মোট ১৮টি ডেক। তারমধ্যে ১৬টি ডেকে রয়েছে ২ হাজার ৭৪৭টি কেবিন। যা বর্তমানে যেকোনো জাহাজের থেকে অনেক বেশি। জাহাজটি এতো বড় যে যাত্রীরা যাতে হারিয়ে না যান, সেজন্য তাদেরকে জিপিএস ব্যবহার করতে হবে! দুই তলা বিশিষ্ট এই জাহাজের সিগনেচার রুমটিকে বলা হয় রয়েল লফট স্যুট। রয়েল লফট স্যুটের প্রথম তলাতে রয়েছে ১৬০০ স্কয়ার ফুটের একটি লিভিং স্পেস। অন্যদিকে ২য় তলাটি  ৮৭৪ স্কয়ার ফুটের। দুটি মিলিয়ে ২৪৭৪ স্কয়ার ফুট! শহরের বড় যে কোনো বড় অ্যাপার্টমেন্টের চেয়েও অনেক বেশি বড়।

যেহেতু ‘হারমনি অব দ্য সিস’ একটি ভ্রমণ জাহাজ সেহেতু এখানে ছুটি কাটাতে আসা যাত্রীদের আনন্দ গ্রহণে যেনো কোন সমস্যা না হয় তাই বিশ্বের ৮০টি দেশের প্রায় ২ হাজার ১০০ জন কর্মচারী তাদের সেবায় নিয়োজিত। আবার সবচেয়ে এক্সক্লুসিভ কেবিনে যারা থাকবেন তাদের সেবায় থাকবে রয়েল জেনিস উপাধির খানসামা। এরা অতিথিদের মালপত্র খুলতে ও গোছাতে অতিথিদের সহযোগিতা করবে।

ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বা ডিনার নিয়ে অতিথি বা যাত্রীদের কোনো চিন্তা নেই। ২০টি রেষ্টুরেন্ট ও বার রয়েছে ‘হারমনি অব দ্য সিস’ জাহাজটিতে। খাবারের মধ্যে রয়েছে হটডগ হতে শুরু করে সুশি পর্যন্ত। জাহাজটিতে খোলা হয়েছে একটি বায়োনিক বার। যেখানে রোবটরা কাস্টমারদের চাহিদা অনুযায়ী ককটেলও বানিয়ে দেবে। এতে আরও রয়েছে খেলার জায়গা, কমেডি ও জ্যাজ ক্লাব, বুটিক শপ, সি স্পা ও ফিটনেস সেন্টার, ইউথ জোন, ২৩টি সুইমিংপুল, স্পের্টস জোন, সেন্ট্রাল পার্ক এবং চিত্তবিনোদনের হরেক উপকরন। এ ছাড়া কেনাকাটা ও শরীরচর্চার জন্যও রয়েছে সব ব্যবস্থা। একদম মধ্যখানে অবস্থিত সেন্ট্রাল পার্কে সাড়ে ১০ হাজারের বেশি উদ্ভিদ, ৪৮টি আঙ্গুর গাছ এবং ৫২টি বড় গাছও রয়েছে ‘হারমনি অব দ্য সিস’ জাহাজটিতে।

রাতে জাহাজটি অসাধারণ রুপ ধারণ করে। বিভিন্ন রঙের লাইট দিয়ে সাজানো জাহাজটি যেন সমূদ্র পথে চলা এক আলোকবর্তিকা। দূর থেকেও মানুষ অবাক হয়ে সেই আলোয় ভুলবে।