ব্রেকিং:
লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে ভোটার শূন্য কেন্দ্র সুবর্ণচরে এক বুথে ঘণ্টায় পড়ল ১ ভোট ছেলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ইউনিয়নে উন্নয়ন বন্ধ করার হুমকি এমপিপত্নীর নোয়াখালীতে ভোটের আগের রাতে টাকা বিতরণের অভিযোগ আওয়ামী লীগে স্বজনদের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
  • বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবর্তন চাই নাকি উন্নয়ন?

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

পরিবর্তন চাই বলে যারা গলা ফাটাচ্ছেন তাদের জন্য কিছু কথা। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তবে তাদের কাজ কি হবে? আগামী পাঁচ বছর তারা কি করবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১ম বছরঃতাদের নেত্রী যিনি কিনা দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারনে নির্বাচনে অংশগ্রহনের বৈধতা হারিয়েছেন তাকে জেল থেকে বের করবে। এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি নির্বাচিত হওয়ার ৭২ ঘন্টার ভিতরেই খালেদা জিয়াকে বের করে প্রধানমন্ত্রী বানানো হবে। দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী হামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী তারেক রহমানকে জামিনে লন্ডন থেকে দেশে নিয়ে আসবে। তার পর মা-ছেলে মিলে দেশ ধ্বংসের নীলনকশা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। আর দেশের উন্নয়ন? সেটা করার জন্য তো আরও ৪ বছর আছেই। 

২য় বছরঃস্বাধীনতা বিরোধী, দুর্নীতি, ধর্ষন, মাদক ব্যবসা, হত্যা, ছিনতাই,রাহাজানি ইত্যাদি মামলায় তাদের যত নেতাকর্মী জেলে আছে বা দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছে তাদের সকলকে জামিনে মুক্ত করবে। আইন পরিবর্তন করে তাদের মুক্ত করতে করতে ১ বছর বা তার বেশী সময়ও লাগতে পারে। উন্নয়নের জন্য তো আরো তিন বছর আছেই।

৩য় বছরঃ গত দশ বছরে যে সকল নেতাকর্মী আদর্শ বিসর্জন দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছে তাদেরকে আবারও নিজেদের আদর্শে উজ্জ্বিবিত করে দলে ফিরিয়ে এনে দলকে ভারি করবে। বাকি দুই বছর দেশ নিয়ে চিন্তা করা যাবে।

৪র্থ বছরঃ নেতাদের জেল থেকে মুক্ত করতে, নেতাদের নিজ ডেরায় ফিরিয়ে আনতে তারা যে পরিমান অর্থ খরচ করেছে সেই অর্থগুলো পুনরায় নিজেদের পকেটে পুরতে তারা তাদের দিন রাত এক করে দেবে। দেশের কথা ভাবার সময় কোথায়?

৫ম বছরঃ এবার তারা চিন্তা করবে সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের খরচ যোগাতে হবে। সেজন্য আরও বেশী করে লুটতরাজ, দুর্নীতি চালিয়ে যাবে আর হামলা,মামলা ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী শক্তিকে দমন করে পুনরায় কিভাবে ক্ষমতায় আসা যায় সেই চিন্তায় লিপ্ত থাকবে । দেশের উন্নয়ন নিয়ে ভাবার সময় কোথায়?

তাহলে দেশের কি হবে? উন্নয়নের কি হবে? দেশ এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে পিছিয়ে যাবে আরও ১০ বছর।কারন বিএনপি উন্নয়ন নয় ভোগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।

আপনার আমার ভোটেই সরকার গঠিত হয়। কোনো দলের হয়ে চিন্তা না করে দেশের হয়ে একবার চিন্তা করে দেখুন তো, দেশের সেবা করার নামে আমরা কি দেশকে লুটেরাদের হাতে তুলে দেবো? নাকি যারা প্রকৃতপক্ষেই দেশের উন্নয়ন করতে চায় তাদেরকে আবারও সুযোগ দিবো? সিদ্ধান্ত আপনার, আমার, আমাদের নিজেদের।আমরা দেশের উন্নয়ন চাই, দেশকে দূর্নীতিবাজদের হাতে দেখতে চাই না।