ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

২০২১ সালে ৪৯.৮ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি আমদানির পরিকল্পনা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০  

সরকার ২০২১ সালে ৪৯.৮ লাখ মেট্রিক টন পেট্রোলিয়াম জ্বালানি আমদানির পরিকল্পনা করছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক সরকারি নথি অনুসারে, প্রস্তাবিত বিশাল আমদানির প্রায় ৫০ শতাংশ বা ২৪.৯ লাখ মেট্রিক টন সরকারিভাবে (জি-টু-জি) আলোচনার মাধ্যমে আটটি দেশ থেকে কেনা হবে এবং বাকি ৫০ শতাংশ খোলা দরপত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সংগ্রহ করা হবে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এ প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।

পরিকল্পনা অনুসারে, পেট্রোলিয়ামের রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) দুই ধাপে ৫০ শতাংশ বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্য আমদানি করবে। প্রথম ধাপে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় ধাপে জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এ আমদানি করা হবে।

বিপিসি চেয়ারম্যান শামসুর রহমানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্থাটির প্রাক্কলন অনুসারে ২০২১ সালে দেশে প্রায় ৬১ লাখ মেট্রিক টন বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম পণ্যের চাহিদা হবে। এর মধ্যে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইস্টার্ন রিফাইনারিসহ দেশীয় উৎস থেকে বিপিসি প্রায় সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন পেট্রোলিয়াম পাবে বলে আশা করছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ সরকারের দ্বিপক্ষীয় জি-টু-জি চুক্তির ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম পণ্য- ডিজেল, জেট এ-১, অকটেন, ফার্নেস অয়েল এবং সামুদ্রিক জ্বালানি আমদানির জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আটটি আউটসোর্সিং সংস্থাতে কোনো পরিবর্তন আনেনি বিপিসি।

বিভিন্ন দেশের সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাগুলো হলো- মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতের কেপিসি, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইএনওসি, চীনের পেট্রোচায়না ও ইউএনআইপিইসি, ইন্দোনেশিয়ার বুমি সিয়াক, থাইল্যান্ডের পিটিটিটি এবং পার্শ্ববর্তী ভারতের এনআরএল।

সরকারের ওই নথিতে দেখা যায়, কুয়েতের কেপিসি থেকে সর্বাধিক ১২.৩ লাখ মেট্রিক টন পেট্রোলিয়াম আমদানি করা হবে। এ তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী হিসেবে চীনের ইউএনআইপিইসি ও পেট্রোচায়না থেকে যথাক্রমে ২.৪ লাখ মেট্রিক টন ও ১.৪ লাখ মেট্রিক টন পেট্রোলিয়াম আমদানি হবে।

এছাড়া, ২০২১ সালে মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল থেকে প্রায় ২.৬ লাখ মেট্রিক টন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইএনওসি থেকে ১.৬ লাখ মেট্রিক টন, ইন্দোনেশিয়ার বুমি সিয়াক থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন, থাইল্যান্ডের পিটিটিটি থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন এবং ভারত থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন পেট্রোলিয়াম আমদানি করা হবে।

বিপিসি কর্মকর্তারা জানান, আগামী বছর থেকে বিদেশ থেকে কোনো পেট্রোল এবং কেরোসিন আমদানি করবে না সরকার। এখন দেশের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি রিফাইনারি সংস্থা পেট্রোলিয়ামের এ দুটি উপাদান উৎপাদন করছে।

এর পরিবর্তে, বিপিসি আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমপিও) মান প্রতিপালনের জন্য পেট্রোলিয়াম আমদানির এ তালিকায় সামুদ্রিক জ্বালানিকে নতুন আইটেম হিসেবে যুক্ত করেছে। তবে, সমুদ্রগামী জাহাজগুলোতে সরবরাহের জন্য সামুদ্রিক জ্বালানিতে ০.৫ শতাংশের কম সালফার থাকতে হবে।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, অতীতে দেশীয় উৎস থেকে সামুদ্রিক জ্বালানি সরবরাহ করেছি। তবে এখন আইএমপিও’র মানদণ্ড বজায় রাখতে বিদেশ থেকে তা আমদানি করতে হবে।

বিপিসি তাদের প্রস্তাবে বলছে, চলতি ২০২০ সালের জন্য তারা সাড়ে ৩৩ লাখ মেট্রিক টন পেট্রোলিয়াম জ্বালানি আমদানির পরিকল্পনা করেছে।

বিপিসি জানায়, ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত আমদানি ও সরবরাহ পরিস্থিতি সন্তোষজনক ছিল। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এপ্রিল থেকে মে মাসে দেশে জ্বালানির চাহিদা কমেছে। তবে, জুন থেকে চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়ছে বলে জানায় সংস্থাটি।

বিপিসি উল্লেখ করেছে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে জেট জ্বালানির চাহিদা যথেষ্ট পরিমাণে কমেছিল। তবে, এখন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রুটে পুনরায় বিমান চলাচল শুরুর পরে জেট জ্বালানির চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে।