ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

হাতিয়ায় শিক্ষকবিহীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাগলের দখলে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২০  

শ্রেনী কক্ষে রাখা হয়েছে ধানের বস্তা,অন্য কক্ষে রাতে বাধা হয় ছাগলের পাল, ভবনের ছাদে শুকানো হয় সিদ্ধ ধান,ছাত্র-ছাত্রী নয়,এসব কাজে ব্যস্ত এলাকার লোজনের বিচরণে মুখরীত থাকে বিদ্যালয়টি। শিক্ষক না থাকায় ছাত্র ভর্তী, পড়ালোখা ,পরীক্ষা কিছুই হয়না এ বিদ্যালয়ে।এতে অনেকটা পরিত্যক্ত ভবনে পরিনত হওয়ায় শ্রেণীকক্ষগুলো রাতের বেলায় ছাগলের ও দিনের বেলায় কৃষকের দখলে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ নামার বাজার এলাকার বাতায়ন কিল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত “বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় ১৫০০ বিদ্যালয় নির্মান“ প্রকল্পের অধীনে নিঝুমদ্বীপের ৪নং ওয়ার্ড়ে এ বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর থেকে স্থায়ীভাবে কোন শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ায় আলোর মূখ দেখেনি বিদ্যালয়টি।
স্থাপনের পরে দুজন শিক্ষককে ডিপুটিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিয়োগের পর পরই তারা কিছুদিন পর বদলি হয়ে চলে যায়। বর্তমানে বেসরকরী একটি এনজিওর একজন শিক্ষক ১ম ও ২য় শ্রেনীর কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন। দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা থেকে নিয়োগ নিয়ে বিদ্যালয়ে দুটি শ্রেনীতে ১৫-২০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পাঠদান দিচ্ছেন ইয়াসমিন আক্তার নামে একজন শিক্ষক। ইয়াসমিন জানান, শিক্ষক না থাকায় গ্রামের অনেক শিশু এখন পড়ালেখা বাদ দিয়ে অন্য কাজ করছেন।


মূলভ’খন্ড থেকে নিঝুমদ্বীপ শিক্ষায় অনেকটা পিছিয়ে তাই কর্তপক্ষ নিঝুমদ্বীপে বিদ্যালয়টি স্থাপন করে । নতুন এ বিদ্যালয়কে গিরে অনেকে বিদ্যালয়ের পাশে বসবাস গড়ে তোলে কিন্তু শিক্ষক না দেওয়ায় গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষায় কোন কাজে আসেনি এটি,  জানান নিঝুমদ্বীপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাইফুল ইসলাম।
বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্রী রুপসী ও রুপবানের সাথে আলাপ করে জানাযায়,বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১ম ও ২য় শ্রেনীর পড়ালেখা চললেও তাতে নেই অনুকূল পরিবেশ । বিদ্যালয় ভবনে এলাকার অনেকে ছাগল বাধা, ধান মজুত করা ও ধান শুকানের কাজ করায় পড়া লেখা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানান তারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ হাতিয়া উপজেলা সদরের পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে ৮-১০ জন করে শিক্ষক রয়েছে। কর্তপক্ষ ইচ্ছা করলে উপজেলা সদর কিংবা পাশবর্তী ইউনিয়ন থেকে শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টি ভালোভাবে চালাতে পারে।
এ ব্যপারে হাতিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভবরঞ্জন দাস জানান,শিক্ষক স্বল্পতার কারনে এ বিদ্যালয়টি চালু করা যাচ্ছে না । তবে পাশবর্তী বিদ্যালয়ে গিয়ে এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা পড়া লেখা করতে পারে । আমি আশা করছি আগামি জানুয়ারীতে কয়েকজন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টি চালু করবো।