প্রতিবছর রোজায় ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের নবী হোটেলে দুপুরের পর থেকেই শুরু হতো ইফতারি বিক্রির হইচই। এবার মহামারি করোনায় বদলে গেছে চিরচেনা দৃশ্যপট। দোকানপাট বন্ধ থাকায় উৎসব আমেজে ভাটা পড়েছে।। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলছে কেনাবেচা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনর কারণে বদলে গেছে ইফতরি বেচাকেনার চিত্র। এবার রমজানের শুরু থেকে হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ থাকায় সরকারি নির্দেশনায় ৫ মে থেকে শুরু হয়েছে ইফতারি বিক্রি।প্রতিবার যেখানে দাঁড়িয়ে ইফতারি যেন এক কষ্টসাধ্য সেখানে এবার নেই কোন ঝামেলা। আসরের আগেই শেষ হয়ে যায় এখানকার ইফতারি।

হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাড়তি স্বাদ নিয়ে মাটন রোল, মাটন হালিম, নাগিস কোপতা, নারিকেল চমুচা, মাটন চমুছা সহ বিভিন্ন রকমের মুখরোচক খাবার তৈরি করা হয়। এখানে প্রতিকেজি জিলাপী ১৩০ টাকা, পায়েস কেজি ৩শ টাকা, লাচ্ছা সেমাই ৩০০ টাকা, মাটন হালিম ৩২০ টাকা, চিকেন হালিম ৩২০ টাকা, চিকেন ফ্রাই ১০০ টাকা, চিকেন মাসালা ১৫০ টাকা, গ্রীল কাবাব চিকেন ১ কোয়াটার ৯০ টাকা, কাচ্ছি বিরিয়ানী ১৮০ টাকা, চিকেন বিরিয়ানী ১৫০ টাকা, বীফ খিঁচুড়ি ফুল প্লেট ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি চনাবুট ১২০ টাকা, কাঁচা বুট ১৪০ টাকা, পেঁয়াজু প্রতিপিস ৫ টাকা, বেগুনী ৫ টাকা, আলুর চপ ৫ টাকা, সবজি চপ ১০ টাকা, চিকেন জালি কাবাব ২০ টাকা, মাটন জালি কাবাব ২০ টাকা, মাটন চমুচা ১০ টাকা, নারিকেল চমুছা ১০ টাকা, পাটিসাপটা পিঠা ২০ টাকা, সবজি রোল ২০ টাকা, মাটন রোল ২০ টাকা, চিকেন রোল ২০ টাকা, নাগিস কোপতা ২০ টাকা, বোরহানী লিটার ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

গ্রাহক আকতার হোসেন জানান, প্রতি রমজান মাসে বাসার ইফতারের সাথে নবী হোটেলের ইফতারি কোনভাবেই বাদ পড়তো না। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাস প্রার্দূভাবের কারণে এ আয়োজন শুরুতে বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চালু হওয়ায় গ্রাহকদের মাঝে স্বস্তি রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারি মেজবাহ উদ্দিন কামাল জানান, ফেনীর মানুষের প্রিয় ও নিরাপদ নবী রেস্টুরেন্ট এন্ড বিরিয়ানী হাউজ সরকারি নির্দেশনা নিশ্চিত করে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোক্তাদের অনুরোধে বিশেষ ইফতারির আয়োজন করছে