সোনাইমুড়ীতে স্কুলছাত্রী অপহরণ করে খালার বাড়িতে ধর্ষণ

সোনাইমুড়ীতে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৬) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৮ দিন পর শুক্রবার দিবাগত রাতে অপহৃত ছাত্রীকে চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানাধীন দাঁতমারা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে ইউপি সদস্যকে উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। অপহৃতার পিতা আবদুল হালিম বাদী হয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৭ই নভেম্বর বিপুলাসার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ও উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের আবদুল হালিমের কন্যাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফ (৩৮) সিএনজিযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানা এলাকায় আসামির খালার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ১৪ই নভেম্বর সন্ধ্যায় মোশারফ চাষিরহাট নতুন বাজার এলে ওই ছাত্রীর ভাই ও এলাকার লোকজন তাকে ছাত্রীর কথা জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তেজিত জনতা উত্তমমধ্যম দিয়ে তাকে আটক করে রাখে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ এসে এলাকাবাসীর কাছ থেকে অপহরণকারী মোশারফকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ধর্ষিতার পিতা আবদুল হালিম বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। নারীলোভী মোশারফকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ওই ছাত্রী প্রথমে মাটিরাঙ্গা খালার বাসায় পরে চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানাধীন দাঁতমারা এলাকায় এক বাড়িতে ৫ দিন রাখে। ওই স্থানে অপহৃত ছাত্রীকে রেখে সে এলাকায় চলে আসে। পরে আসামির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার আসামিকে নিয়ে ওই স্থান থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ পিপিএম জানান, এ ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানায় মামলা হয়েছে। ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা শেষে ২২ ধারা জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।