ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা ২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে সেতু, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বাহারের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দেখছেন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সূর্যগ্রহণ কেনো হয়? জেনে নিন

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

এক বিরল সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দেখছে বিশ্ববাসী। এমন দৃশ্য শেষবার মানুষ দেখেছিল ১৭২ বছর আগে। বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকেও বিরল সেই সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছে। এই গ্রহনের স্থায়ীত্ব ছিলো প্রায় আড়াই ঘণ্টা। গ্রহণ দেখার জন্য অনেকেই উৎসুখ হয়ে বসে ছিলো। 
আমরা সকলেই সূর্যগ্রহণ দেখেছি, তবে আমরা কি জানি সূর্যগ্রহণ কেনো হয়?

আমরা সবাই জানি সূর্যের ব্যাস চাঁদের ব্যাসের প্রায় চারশ’ গুণ এবং সূর্যের দূরত্বও পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের প্রায় চারশ’ গুণ। ফলে পৃথিবী থেকে চাঁদকে প্রায় সূর্যের সমানই দেখায়। কৌণিক ব্যাস আধা ডিগ্রি। পৃথিবীর সূর্য প্রদক্ষিণ পথ এবং চাঁদের পৃথিবী প্রদক্ষিণ পথ ডিম্বাকৃতি হওয়ায় পৃথিবী থেকে সূর্য ও চাঁদের দূরত্ব সব সময় এক থাকে না। ফলে পৃথিবী থেকে এদের আকারও তুলনামূলকভাবে সামান্য ছোট বড় দেখায়।

পৃথিবী একটি উপবৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। চাঁদ আবার একইভাবে প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীকে। সূর্য মহাকাশে একটি বিস্তৃত আলোক উৎস। পৃথিবী ও চাঁদ আলোকহীন অস্বচ্ছ পদার্থ। ফলে এদের যে পাশে সূর্য থাকে তার বিপরীত পাশে ছায়ার সৃষ্টি হয়। কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে সরলরেখায় এলে পৃথিবী ও চাঁদের একের ছায়া অন্যটির উপর পড়ে।

পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়লে চন্দ্রগ্রহণের সৃষ্টি হয়। আর চাঁদের ছায়া পৃথিবীতে পড়লে ঐ ছায়ার অন্তর্গত স্থানে সূর্যগ্রহণের সৃষ্টি হয়। গ্রহণ হতে হলে সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদকে একই সরলরেখায় আসতে হয়।

যেকোনো বছরে সূর্যগ্রহণের সংখ্যা চন্দ্রগ্রহণের সংখ্যার থেকে বেশি। কোনো বছরে গ্রহণের সর্বনিম্ন সংখ্যা দুই এবং সে দুটিই হচ্ছে সূর্যগ্রহণ। আর সর্বাধিক গ্রহণ হচ্ছে সাত, যার পাঁচটি সূর্যগ্রহণ ও দুটি চন্দ্রগ্রহণ অথবা চারটি সূর্যগ্রহণ ও তিনটি চন্দ্রগ্রহণ। ১৯৩৫ সালে পাঁচটি সূর্যগ্রহণ এবং দুইটি চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল এবং ১৯৮২ সালে হয়েছিল চারটি সূর্যগ্রহণ ও তিনটি চন্দ্রগ্রহণ।

সূর্যগ্রহণ আবার তিন রকম হতে পারে। আংশিক বা খণ্ডগ্রাস, বলয়গ্রাস এবং পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে হলে চাঁদের আপাত ব্যাস সূর্যের সমান বা বেশি হতে হবে। সূর্য বেশিদূরে থাকলে এবং চাঁদ বেশি কাছে থাকলে বেশি সময় ধরে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।

গ্রহণের বিভিন্ন পর্যায়:
সূর্যগ্রহণ উপভোগ করতে এবং গ্রহণ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পেতে হলে গ্রহণকালীন কোন সময়ে কী ঘটে, তা জেনে রাখা দরকার। সূর্যগ্রহণের সময়কে মোট চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। উত্তর গোলার্ধে যখন চাঁদের পূর্বপ্রান্ত দিয়ে সূর্যের পশ্চিমপ্রান্ত ঢাকা পড়তে শুরু করে, সেই মুহূর্ত থেকেই প্রথম স্পর্শের শুরু। অর্থাৎ প্রথম স্পর্শ থেকেই গ্রহণের শুরু। এরপর চাঁদের দেহ সূর্যের পূর্বপ্রান্তে স্পর্শ করবে ততক্ষণ পর্যন্তই গ্রহণের প্রথম স্পর্শ। আমরা সহজেই বুঝতে পারছি, প্রথম স্পর্শের পুরোটাই হবে আংশিক গ্রহণ।

চাঁদের পূর্বপ্রান্ত সূর্যের পূর্বপ্রান্ত স্পর্শ করলে সেটা হবে দ্বিতীয় স্পর্শ। দ্বিতীয় স্পর্শের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের শুরু। অর্থাৎ চাঁদের দেহ দিয়ে সূর্য সম্পূর্ণরূপে ঢাকা পড়বে।

চাঁদের পূর্বপ্রান্ত আরো এগিয়ে গেলে যখন চাঁদের পশ্চিমপ্রান্ত সূর্যের পশ্চিমপ্রান্ত স্পর্শ করে তখন তৃতীয় স্পর্শ। তৃতীয় স্পর্শে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ শেষ হবে। ২২ জুলাইয়ের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের স্থায়িত্ব হবে ৩ মিনিট ৫৮.৫ সেকেন্ড। অর্থাৎ এই সময়টা হচ্ছে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্পর্শে মধ্যবর্তী সময়।

তৃতীয় স্পর্শের পর থেকে সূর্যের পশ্চিমপ্রান্ত ধীরে ধীরে দেখা দিতে শুরু করবে। চাঁদের পশ্চিমপ্রান্ত এবং সূর্যের পূর্বপ্রান্ত পরস্পর থেকে মুক্ত হলে হয় চতুর্থ স্পর্শ। অর্থাৎ স্পর্শে গ্রহণ শেষ। তৃতীয় স্পর্শ থেকে চতুর্থ স্পর্শ পর্যন্ত আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে।