ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সুশোভন রক্তকাঞ্চনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯  

ফুলপ্রেমী সকলের কাছে কাঞ্চন ফুল একটি পরিচিত নাম। কাঞ্চন ফুলের কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে- দেবকাঞ্চন, শ্বেতকাঞ্চন ও রক্তকাঞ্চন। ফুলের রং, শোভা আর সৌন্দর্যে সবাই রক্তকাঞ্চনকেই বেশি পছন্দ করেন। তাই কাঞ্চনের মধ্যে রক্তকাঞ্চনই সেরা।

কাঞ্চনের জন্মস্থান ভারত ও বাংলাদেশ। ইংরেজি নাম : orchid tree, camel`s foot tree, kachnar and mountain-eboû. পরিবার : Caesalpinaceae. উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম : Bauhinia variegat.

তুলনামূলকভাবে তিন কাঞ্চন ফুলের মধ্যে রক্তকাঞ্চনই দেখতে বেশি সুন্দর। বসন্তের রক্তিম এ ফুলটির নাম শুনলেই বোঝা যায় এই ফুলে রঙয়ের উপস্থিতি কেমন হবে। শীতের শেষে যখন রক্তকাঞ্চনের সব পাতা ঝরে যায় তখন পত্রহীন গাছ ভরে ওঠে রক্তিম ফুলে। রক্তকাঞ্চনের আদি নিবাস ভারতে। তবে বহুকাল ধরে বাংলাদেশে এর বিস্তারের ফলে এটি আমাদের নিজস্ব গাছ হয়ে উঠেছে।

এরা দেবকাঞ্চনের  চেয়ে  আকারে কিছুটা ছোট হয়। এদের পাতার গড়ন দেবকাঞ্চনের মতোই। রক্তকাঞ্চনের ফুল ৫টি পাঁপড়ি যুক্ত। তবে এ ফুলের একটি পাঁপড়ি আকারে বড় ও গাঢ় রঙয়ের হয়ে থাকে। কাঞ্চন গাছের বাকল থেকে ট্যানিং, রঙ ও দড়ি তৈরি করা যায়। কাঞ্চন বীজের তেল এক সময় সস্তা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহূত হতো। কাঞ্চনের শিকড় বিষাক্ত। এটিকে আদিবাসীরা সর্প দংশনের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

রক্তকাঞ্চনের রয়েছে ভেষজ গুণাগুণ। উঁচু ভূমি, রৌদ্র উজ্জ্বল পরিবেশ থেকে হালকা ছায়াযুক্ত স্থান ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে রক্তকাঞ্চন জন্মে। আমাদের দেশে কোনো কোনো বসতবাড়িতে বা প্রতিষ্ঠানের বাগানে, বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের আইল্যান্ড, পার্ক, উদ্যান, বন-জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকায় রক্তকাঞ্চন গাছ দেখা যায়।

 

লেখক ও গবেষক

ড. সুবোধ কুমার সরকার

চেয়ারম্যান

বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ