ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সুবর্ণচর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অবাধে চলছে দুর্নীতি-অনিয়ম

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

নোয়াখালীর সুবর্ণচর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতি-অনিয়ম যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। এ অফিসে দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি, ঘুষের লেনদেন বেড়েছে দ্বিগুন। রাজস্ব ফাঁকি ও ঘুষের টাকায় সাব-রেজিস্টারসহ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দলিল লেখকগন আঙ্গুল পুলে কলাগাছ হচ্ছেন। অপর দিকে অসহনীয় মাত্রায় বেড়েছে জনদূর্ভোগ।

অভিযোগ রয়েছে, লাখ টাকা ঘুষ দিলেই সরকারের বন্দোবস্তকৃত ভূমি সাফ কবলা ও জাল দলিল নিবন্ধন করতে কোন নিয়মনীতির দরকার হয় না এ অফিসে। সাধারণত সাফ কবলা দলিল করতে প্রতি দলিলে ৫’শ টাকা করে ঘুষ নিলেও দানপত্র, হেবা, আমমোক্তার দলিল নিবন্ধনে হয় মোটা অংকের ঘুষের চুক্তি। আবার সেরেস্তার নামে দলিল মূল্যের ৩ শতাংশ ও নকল উত্তোলনের জন্য এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয় সেবাগ্রহীতারা।

সরেজমিন সুবর্ণচর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ঘুরে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল সাব-রেজিস্ট্রার ফজলুল হক এ অফিসে যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই অফিসের অপরাপর কর্মকর্তা ও দলিল লেখক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে বন্দোবস্তের ভূমি সাফ কবলা ও জাল দলিল নিবন্ধন করে আসছেন। ঘটনার সত্যতা খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের চর পানউল্যা মৌজার জে.এল.নং-২৮০/৮৬, ৭৬৫ নং খতিয়ানের ৩০১ দাগ-ভাটা ৬৮ নং দাগে ৮৭ শতাংশ ভূমি ২০০০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারির আদেশে বন্দোবস্ত নথী নং-১০৩২/৯৮-৯৯ মূলে চর পানাউল্যা গ্রামের তফাজ্জল হকের ছেলে রফিক উল্যা ও তার স্ত্রী সাহিদা আক্তারের নামে নথীভুক্ত হয়। ওই বন্দোবস্তকৃত ভূমির ৩২ শতাংশ ভূমি লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর একই গ্রামের মজিবল হকের ছেলে আনার আহাম্মদ ও তার স্ত্রী শিরীন আক্তারের নামে সাফ কবলা নিবন্ধন করেন সাব-রেজিস্টার ফজলুল হক। বন্দোবস্তের ভূমি সাফ কবলা রেজিস্ট্রির দলিলের ক্রমিক নং- ৪০৫৭, বহিঃ নং-১, দলিল নং-৪০২৪/১৯। সরকারের বন্দোবস্তকৃত ভূমি এভাবে সাফ কবলা রেজিস্ট্রি দেওয়ায় উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের একটি সুত্র জানান, সাব-রেজিস্ট্রার ফজলুল হক সুবর্ণচরে যোগদানের পর থেকে এ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অর্ধশতাধিক বন্দোবস্তকৃত ভূমির দলিল নিবন্ধন ও একাধিক জাল দলিল সৃজনের ঘটনা ঘটেছে। দলিল লেখক সিন্ডিকেট ও অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে প্রতিটি দলিলেই নিয়েছেন ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ। ওই সুত্র আরো জানান, ঘুষের টাকার একটা অংশ জেলা রেজিস্টার কার্যালয়ের প্রধান সহকারী আলমগীর হোসেনের মাধ্যমে উপরের মহলেও যায়।

বন্দোবস্তকৃত ভূমির সাফ কবলা দলিল নিবন্ধনের বিষয়টি স্বীকার করে সাব-রেজিস্ট্রার ফজলুল হক বলেন, এটি ভুলবশত করা হয়েছে। দলিল লেখক মো. মাঈন উদ্দিন বন্দোবস্তকৃত ভূমির কাগজপত্র নকল করে উপস্থাপনের মাধ্যমে দলিলটি করিয়ে নিয়েছেন। আমাদের অনলাইন নিবন্ধন না থাকায় এটা যাচাই করার সুযোগ হয়নি। এ ব্যাপারে ভবিষ্যৎতে আমরা সতর্ক থাকবো। তবে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

জেলা রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল খালেক মুঠোফোনে জানান, বন্দোবস্তের ভূমি সাফ কবলা নিবন্ধনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই সাব-রেজিস্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।