ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

সন্তানকে ডিপ্রেশন থেকে বাঁচাতে মা-বাবার করণীয়

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

প্রতি পাঁচজনের একজন কিশোর-কিশোরী অবসাদ বা ডিপ্রেশনে ভোগে। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধির সময় তাদের মধ্যে এই সমস্যাগুলো গুরুতর আকার ধারণ করে। এছাড়াও বর্তমানে বেশিরভাগ পরিবারেই দেখা যায়, শিশু বাবা- মায়ের থেকে দূরে থাকছে। বাবা- মা কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকায় শিশু বড় হচ্ছে আয়ার কাছে। এতে করে তার সব কথা কারো সঙ্গে শেয়ারও করতে পারে না। 

আসক্ত হচ্ছে ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির উপর। এতে করে দেখা দিচ্ছে শিশুর শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যাও। অনেক সময় দেখা যায় মনের কথা কাউকে বলতে না পারার ফলে নিজেরাই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। মানসিক অবসাদে এতোটা গ্রাস করে ফেলে যে আত্মহত্যার মতো কাজও তারা করে ফেলে। এই সময় তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন তাদের বাবা-মায়েরাই।  

কিশোর বা কিশোরীকে তার অবসাদ থেকে মুক্ত করার জন্য বাবা-মা হিসেবে আপনি অনেক কিছুই করতে পারেন। জেনে নিন আপনার করণীয় কী এই সময়- 

সন্তানের পছন্দে গুরুত্ব দিন 
আপনার সন্তান কি গান গাইতে ভালোবাসে বা ছবি আঁকতে? তাহলে তার শখ পূরণ করতে তাকে সাহায্য করুন। এতে পজিটিভ এনার্জি পরিমাণ বাড়বে। মন ভালো হবে। পছন্দের বিষয় নিয়ে সে যত ব্যস্ত থাকবে, তার মনের অবসাদ ততই কমবে। যদি আপাত ভাবে তার কোনো শখ নাও থাকে , তাহলে কোনো শখ বা হবি তৈরি করতে সাহায্য করুন এবং নিরন্তর উৎসাহ দিন।

দরকার সঠিক ঘুম 
আপনার কি মনে হচ্ছে আপনার সন্তান অবসাদে ভুগছে? তাহলে লক্ষ্য করুন রাতে তার ঠিকঠাক ঘুম হচ্ছে কি না? ঘুম ভালো না হলে অবসাদ বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন , যারা রাতে কম জাগেন, তাদের মধ্যে অবসাদের পরিমাণ কম হয়। তাই বাবা-মা হিসেবে চেষ্টা করুন সন্তানকে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে বাধ্য করতে। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং সকালে তাড়াতাড়ি ওঠা - অবসাদ কমানোর অন্যতম রাস্তা। 

পরিসংখ্যান বলছে , যারা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান এবং সকালে তাড়াতাড়ি উঠে পড়েন, তাদের মধ্যে পজিটিভ এনার্জির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। মন খারাপকে তারা অনেক সহজে কাটিয়ে উঠতে পারেন ।

শরীরচর্চায় অভ্যস্ত করতে পারেন
আপনার সন্তান কি স্বাস্থ্যসচেতন ? তা যদি না হয় , তাহলে তাকে বাধ্য করুন স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠতে। নিয়মিত এক্সারসাইজ বা ব্যয়াম করার জন্য সময় বেঁধে দিন। যারা নিয়মিত যোগাসন বা এক্সারসাইজ করেন, তাদের শরীরে সেই সমস্ত হরমোনের ক্ষরণ অনেক বেশি হয়। যেগুলো হরমোন মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে অবসাদ বা ডিপ্রেশনের পরিমাণ কমে।

ভালো ঘটনাই মনে রাখুক 
প্রতিদিনই এমন অনেক ঘটনা ঘটে , যার অনেকগুলো মানুষের মনের ওপর ভালো প্রভাব ফেলে, অনেকগুলো খারাপ অনুভূতি দেয়। বাবা-মা হিসেবে আপনি সন্তানকে পরামর্শ দিতে পারেন, যাতে সে ভালো অনুভূতির কথাগুলো শুধু মনে রাখবে। খারাপগুলো ভুলে যেতে পারবে। এতে তার মধ্যে পজিটিভ এনার্জি সঞ্চার অনেক বেশি হবে। তার ফলে অবসাদ বা ডিপ্রেশনের পরিমাণ অনেকটাই কমবে।

নিজের ওপর বিশ্বাস থাকুক 
প্রত্যেক মানুষের মধ্যে কিছু না কিছু সহজাত ক্ষমতা থাকে। যে ক্ষমতাগুলোর ব্যবহার করে তারা হয়ে উঠতে পারেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল । আপনার সন্তানের মধ্যে তেমনই অনেক ক্ষমতা আছে। সে হয়তো এখনও সেগুলো আবিষ্কার করে উঠতে পারেনি। বাবা-মা হিসেবে আপনার কর্তব্য সেই কিশোর বা কিশোরীর পাশে দাঁড়ানো। তার ক্ষমতাগুলো তাকে চিনতে সাহায্য করা। সেই সঙ্গে নিজের ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার পরামর্শও দিন তাকে। তাহলেই হয়তো কমে যাবে তার মনের অনেকখানি অবসাদ।