ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা ২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে সেতু, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বাহারের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দেখছেন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শীতে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুরে হাঁসপার্টির ধূম

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২০  

তীব্র শীতে হাঁসের মাংসের সঙ্গে চিতই পিঠা বা সিদ্ধ রুটি লক্ষ্মীপুর জেলার একটি ব্যতিক্রমী ও ঐতিহ্যবাহী ভোজন বিলাসী আয়োজন। দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে ব্যতিক্রমী এ ঐতিহ্য। তবে বর্তমানে এ রকম আয়োজন চলছে জেলার প্রায় সকল উপজেলা এমনকি পাড়া মহল্লায়।

আয়োজনের সাথে জড়িতদের মাঝে বেশির ভাগই তরুণ বা যুবক। আয়োজন চলে বয়স্ক বন্ধুদের মাঝেও। এমনকি রাজনৈতিক নেতার তুষ্টিতেও হয় এ রকম আয়োজন। তাই শীত আসলেই এ অঞ্চলে হাসেঁর মাংসের চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণ।


 
সে জন্য মাংসের বাজারে এখন হাঁসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আর হাঁসের চাহিদার বেশির ভাগ জোগান আসে চর বেশিষ্টিত কমলনগর এবং রামগতি উপজেলা থেকে। বৃহস্পতিবার(২৬ ডিসেম্বর) কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা যায় প্রতি জোড়া মাঝারি সাইজের হাঁস বিক্রি হচ্ছিল ৬০০-৯০০ টাকায়। যা কয়েক দিন আগেও তা ৫০০-৭০০ টাকায় পাওয়া যেত বলে জানান ক্রেতা আবদুল মালেক।

জেলার কমলনগরের চর লরেঞ্চ গ্রামের যুবক আবদুস সালাম জানান, লক্ষ্মীপুর জেলা ব্যাপী যে সব সামাজিক অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকে সে গুলোর সবটারই কোনো না কোনো ব্যানারে এবং কোনো না কোনো উদ্দেশ্যের আপ্যায়ন। কিন্তু এসব কিছুর বাহিরে প্রতি বছর শীতে প্রায় প্রতিটি পরিবার আর বন্ধু বান্ধবদের মাঝে এক মাত্র আনন্দের জন্য আয়োজন হচ্ছে হাঁসপার্টি। যা বেশিরভাগই হয় তরুণ বা যুবকদের উদ্যোগে।

এদিকে নোয়াখালীর বিভিন্ন থানাগুলোতেও পার্টি চলছে হাঁসের। তাই দাম বেশি নোয়াখালীর নয়টি থানাতেও।

হাঁসের মাংসের সঙ্গে থাকে রুটি। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়তে থাকে এ রকম আয়োজন। ফলে শীতে হাসেঁর মাংস খাওয়া এ এলাকার এক অঘোষিত এক রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হয় কমলনগর উপকূল ডিগ্রী কলেজের স্নাতকের ছাত্র আরিফুর রহমান ( ২১) নামে একজনের সাথে। তিনি জানান বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকে বাড়িতে হাঁসের মাংস খেতে পারেন না। তাই আমরা প্রতি বছর শীতে বন্ধুরা মিলে এ রকম আয়োজন করে থাকি। এটা হাসঁ খাওয়া আর আনন্দ ভাগাভাগি করা। প্রথম প্রথম সম্পূর্ণ নিজস্ব বন্ধুবান্ধবরা মিলেই করতাম। এখন চাকুরীজীবি ম্যাচে, কলেজ ম্যাচে ও আয়োজন করি। তার ভাষায় এ রকম আয়োজনের মাধ্যমে অনেকের বন্ধুত্ব বৃদ্ধি পায়।

ভোজন রসিকদের চাহিদা মেটাতে অনেকে শীতের আগে আগে হাঁস পালন শুরু করেন। জেলার কমলনগর উপজেলার ভুলুয়া নদের চরে তেমনই একজন হাঁসচাষী কামাল উদ্দিন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তিনি এই শীতে প্রায় বারোশ হাঁসের একটি খামার গড়ে তুলেছেন।

কামাল উদ্দিনের বয়স ৪৫ পার হয়েছে। এলাকায় ‘পাখি বেপারী কামাল’ নামে তিনি পরিচিত। অন্যকিছু করেন না। কেবল পশুপাখি লালন-পালন আর বাজারজাতকরণই তার জীবিকার একমাত্র মাধ্যম। মৌসুম বুঝে তিনি খামার করেন।


 
ঐতিহ্যবাহী ভোজন বিলাসী এই হাঁসের চাহিদা মেটাতে কামাল উদ্দিনের মতো চাষীরা রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এমনটাই মনে করেন এখানকার সাধারণ মানুষ।