ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিশুদেরও ডায়াবেটিস হয়

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮  

ডায়াবেটিস বড়দেরই বেশি হতে দেখা যায়। তাই বলে শিশুরা এই রোগ থেকে মুক্ত নয়। শিশুদের ডায়াবেটিস ভিন্ন ধরনের, একে বলে টাইপ-১ ডায়াবেটিস।

শিশুদের ডায়াবেটিস ইনসুলিন হরমোনের অভাবেই হয়ে থাকে। ইনসুলিন রক্তের গ্লুকোজ ব্যবহার করে শক্তির জোগান দেয় ও গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর অভাব হলে রক্তের গ্লুকোজ অনেক বেড়ে যায়। শরীর তখন বিকল্প পথে আমিষ ও চর্বি থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করতে বাধ্য হয়। এর ফলে অস্বাভাবিকভাবে রক্তের ভেতর বিষাক্ত পদার্থ (কিটন বডিস) জমতে থাকে। প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়, আক্রান্ত শিশুর গলা ও বুক শুকিয়ে যায়, শিশুটি বারবার পানি খেতে থাকে। ওজন কমে যেতে থাকে, রক্তে অতিরিক্ত বিষাক্ত কিটন বডিস জমে গেলে হঠাৎ অচেতন হয়ে যায়, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ইনসুলিন দিয়ে দ্রুত চিকিৎসা না করলে শিশুটি মারাও যেতে পারে।

শিশুদের রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা সচরাচর করা হয় না, তাই প্রায়ই সময়মতো ধরা পড়ে না। শিশুদের ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

* ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে।

* বেশি বেশি প্রস্রাব করছে। আবার নতুন করে বিছানায় প্রস্রাব করা শুরু করেছে।

* বেশি বেশি পানি খাচ্ছে, এমনকি রাতে ঘুম থেকে জেগেও।

* আগের মতো আর উদ্দীপ্ত লাগছে না, অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে।

* ঘন ঘন বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হচ্ছে, সুস্থ হচ্ছে না সহজে।

যদি ডায়াবেটিস হয়ে যায় তাহলে কী করবেন?

* চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ইনসুলিন ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করুন। প্রাথমিক অবস্থায় গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘন ঘন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া লাগতে পারে। এতে মন খারাপ করবেন না।

■ বাচ্চার প্রতিদিনের খাবার থেকে মিষ্টি, চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দিন। অন্য খাবার পরিমিতভাবে খাওয়ান। আপনারাও বাচ্চার সামনে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিন।

■ খেলাধুলা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, দৌড়ঝাঁপ, সব ধরনের জীবনধারায় শৃঙ্খলা আনুন।

■ চলাফেরায় বাড়তি সতর্কতা নিন, যাতে বাচ্চা কোনো রকম আঘাত না পায় বা কাটাছেঁড়া না হয়। পায়ের ও দাঁতের যত্নে, নখ কাটায় সাবধান থাকুন।

■ যেকোনো ধরনের খেলাধুলা বা কর্মকাণ্ডে সুস্থ শিশুর মতো ডায়াবেটিস শিশুকে সমান সুযোগ দিন, যাতে সে কোনোভাবে বৈষম্যের শিকার না হয় বা মনে কষ্ট পায়।

■ নিয়মিত বিরতিতে চোখ ও কিডনির সুস্থতা চেক করুন।

■ শরীরে কোনো প্রকার সংক্রমণ বা জ্বর হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন