ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

লক্ষ্মীপুরে শিশু মৃত্যু কমেছে ৯০ শতাংশ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২০  

লক্ষ্মীপুরে জেলা সদর হাসপাতালে স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ণ ইউনিট স্ক্যানু চালুর পর থেকে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ৯০ শতাংশ। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে খুশি স্বজনরা।
চিকিৎসকরা বলেছন, সরকারের চ্যালেঞ্জ নবজাতকের মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা। সেটাই সম্ভব হয়েছে স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ণ ইউনিট স্ক্যানু চালুর হওয়ার পর। তাই সময়মত শিশুদের এ ইউনিটে ভর্তি করা গেলে শিশু মৃত্যুর হার শুন্যের কোটায় নেমে আসবে।
তবে সিভিল সার্জন বলছেন, স্পেশাল কেয়ার ইউনিট চালুর পর ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে অসহায় ও দু:স্তরা যেন এ সেবা পেতে পারে, সেটাই অব্যহত রয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে প্রায় এক হাজার নবজাতক শিশুকে সদর হাসপাতালে দেয়া হয়েছে বিনামূল্যোর এ সেবা। নবজাতক ও শিশুদের জরুরী সেবা নিশ্চিত করতে ২০১৬ সালে চালু হয় ৮ বেডের এ স্পেশাল কেয়ার ইউনিবর্ণ ইউনিট স্ক্যানু। অত্যন্ত পরিচ্চন্ন এ ইউনিটে শ্বাসরোগ, অপরিপক্ষ ও কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয়া নবজাতক ও শিশুদের ফলোআপ ও রেফারেল চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। দুইজন শিশু কনসালটেন্টের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক ও নার্স ২৪ঘন্টাই দিয়ে থাকেন এ সেবা। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা এ ইউনিটে পৌঁছা মাত্রই শুরু হয় প্রয়োজনীয় সেবা। স্ক্যানুতে প্রতিদিন অন্তত ২০টি শিশুকে দেয়া হয় চিকিৎসা। লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলা ও আশপাশের জেলা থেকে আসে এসব শিশু।

নবজাতকের স্বজনরা বলেন, যেখানে প্রাইভেট হাসপাতালে এ সেবা নিতে নবজাতকের প্রতিদিন খরচ হতো ২০/৩০ হাজার টাকা। এর আগে আর্থিক অবস্থায় খারাপ থাকায় সময়মত চিকিৎসা দেয়া যেতনা। কিন্তু এইখানে বিনামুল্যে নবজাতকের এ চিকিৎসা সেবা নিতে পারায় খুশি স্বজনরা। এটি অব্যাহত থাকলে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় ও দু:স্তরা এ চিকিৎসা সেবা পাবে বলে আশা করেন স্বজনদের।
সদর হাসপাতালের এক মেডিকেল অফিসার জানান, চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়। পাশাপাশি নিরাপত্তার গার্ড না থাকায় অহরহ রোগীর স্বজনরা ভিতরে প্রবেশ করে। এতে করে নবজাতকের চিকিৎসা সেবা নিয়ে নানা ধরনের সমস্যা পড়তে হয়। যেন সঠিকভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো যায়, সেটাই প্রত্যাশা করেন চিকিৎসকরা।

সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ইছমাইল হাসান জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় ও দুস্ত পরিবারের নবজাতকের পাশাপাশি সকল নবজাতক বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের চিকিৎসা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। এর আগে ঢাকা-চট্রগ্রাম ছাড়া নবজাতকের জন্য এ চিকিৎসা সেবা সদর হাসপাতালে পেতনা। বর্তমান সরকারের যে চ্যালেঞ্জ নবজাতকের মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার। সেটাই সম্ভব হয়েছে। তাই সময়মত শিশুদের এ ইউনিটে ভর্তি করা গেলে শিশু মৃত্যুর হার শুন্যের কোটায় নেমে আসবে। এর পাশাপাশি বাড়িতে কিভাবে এসব নবজাতকের চিকিৎসা দেয়া হবে, সে বিষয়ে নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফ্ফার জানান, স্পেশাল কেয়ার ইউনিট চালুর পর ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিমাসে ৭০/৮০ নবজাতক বিনামুল্যে এ চিকিৎসা সেপা পাচ্ছে। সময়মত চিকিৎসা সেবা পাওয়া নবজাতকের মৃত্যুর হার কমেছে ৯০ ভাগ। ইতিমধ্যে এ চিকিৎসা সেবায় জাতীয়ভাবে পুরস্কারও পাওয়া গেছে। অসহায় ও দু:স্তরা যেন এ সেবা পেতে পারে,সেটাই অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।