যেভাবে সংযম শেখায় রোজা
নোয়াখালী সমাচার
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০১৯
না খেয়ে থাকার নামাই রোজা নয়। রোজার মূল তাৎপর্য সংযমে। শুধু ক্ষুধার সংযম নয়, মুখের সংযম, কানের সংযম, মনের সংযমসহ সকল রিপু দমনের প্রশিক্ষণকেই রোজা বলে। অর্থাৎ আত্মসংযমে নামা রোজা।
মিথ্যাচারিতা, আজেবাজে, অহেতুক কথা বলা, চোখের গিবত এবং কটু বাক্য হতে জিহ্বাকে সংযত রাখা, প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের হেফাজত করা এবং হারাম মাল না খাওয়া সর্বক্ষেত্রেই সংযত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
রোজা প্রকৃতই রোজাদারদের হাত, পা, মুখ ও অন্তঃকরণকে সংযত করে। সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তিদের রোজা চক্ষু, কান, জিহ্বা, হাত, পা এবং দৈহিক সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে যাবতীয় গুনাহের কাজ থেকে বিরত রাখার মাধ্যমে অর্জিত হয়। যেমন চোখকে অবৈধ দৃষ্টিপাত থেকে ফিরিয়ে রাখা। এ প্রসঙ্গে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘মন্দ বিষয়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করা শয়তানের একটি বিষ মিশ্রিত তির। যে আল্লাহর ভয়ে এটা বর্জন করে, আল্লাহ তাকে ঈমানের এমন নূর প্রদান করেন, যার আস্বাদন সে অন্তরে অনুভব করে।’
মাহে রমজান হলো সংযম সাধনার একটি সুবর্ণ সুযোগ। আর নিরলস সাধনা হলো নিজের বিরুদ্ধে, নফ্স, রিপু ও লালিত কামনা-বাসনার বিরুদ্ধে। তাই রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রকৃত মুজাহিদ তো সে-ই, যে তার নিজের নফ্স ও রিপুর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে।’ (মুসনাদে আহমাদ)
রোজা পালন বা সিয়াম সাধনার বৈশিষ্ট্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অনর্থক কথাবার্তা, মিথ্যাচার, পরনিন্দা, গিবত, কটু বাক্য ব্যবহার প্রভৃতি গর্হিত কাজ থেকে জিহ্বাকে সংযম অবস্থায় রাখতে হবে।
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘রোজা ঢালস্বরূপ! তোমাদের কেউ যখন রোজা রাখে, তখন যেন মুখ দিয়ে অশ্লীল ও খারাপ কথা না বলে, কেউ তার সঙ্গে ঝগড়া করলে অথবা গালি দিলে সে যেন বলে আমি রোজাদার।’ (বুখারি)
দেহকে আত্মনিয়ন্ত্রণে আনতে হলে দৈহিক প্রেরণাকে সংযত করে আত্মিক শক্তিকে সমৃদ্ধ করতে হয়। কামনা-বাসনাকে সংযত করার জন্য একদিকে ক্ষুধা, তৃষ্ণার কষ্ট সহ্য ও রিপুর তাড়নাকে পরিত্যাগ করতে হয়, অন্যদিকে জিহ্বা ও মনের চাহিদা এবং অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এভাবে দৈহিক আকাক্সক্ষা ও প্রেরণাকে যত সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, অন্য কোনোভাবে তা সম্ভব নয়। তাই হারাম জিনিস দেখা, নিষিদ্ধ কথা শ্রবণ করা ও হারাম কাজ সম্পাদন করা প্রভৃতি থেকে নিজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে অবশ্যই বিরত রাখা উচিত। তবেই রোজার স্বাদ অনুভূত হবে এবং সিয়ামও প্রাণবন্ত হবে।
মাহে রমজানে ত্যাগ ও সংযম সাধনার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘পাঁচটি বিষয় রোজাদারের রোজা বিনষ্ট করে দেয় মিথ্যা বলা, কূটনামি করা, পশ্চাতে পরনিন্দা করা, মিথ্যা শপথ করা এবং খারাপ দৃষ্টিতে তাকানো।’
রোজাদারকে কু-কথা শ্রবণ করা থেকে নিজের কানকে বিরত রেখে সাধনা করতে হবে। কেননা, যেসব কথা বলা হারাম, সেগুলো শ্রবণ করাও হারাম। এ জন্যই মিথ্যা শ্রবণকারী ও হারাম ভক্ষণকারীদের পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘গিবতকারী ও শ্রবণকারী উভয়ই গুনাহের অংশীদার।’
সুতরাং সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকা, রুটিনমাফিক উপবাস করা, মসজিদে যাওয়া, তারাবি নামাজ পড়া, ইফতার আর সেহির খাওয়াতেই রোজা পালন সম্পন্ন হয় না, এর সঙ্গে রোজাদার ব্যক্তির দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সংযম সাধনা করা বাঞ্ছনীয়।
রোজাদারদের চোখকে খারাপ জিনিস দেখা থেকে বিরত রাখতে হবে। পা-কে অসৎ কাজে অগ্রসর হতে বাধা দিতে হবে। হাতকে চুরি, ডাকাতি, ঘুষ-দুর্নীতি, ছিনতাই, রাহাজানি, খুন-খারাবি, ধর্ষণ, অপহরণ, মজুতদারি, চোরাকারবারিসহ সকল প্রকার অবৈধ কাজকর্ম থেকে বা ভেজাল মিশ্রণ ও হারাম খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে হবে। কানকে নিষিদ্ধ কোনো কিছু শোনা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। মনকে কামনা-বাসনা, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসামুক্ত রেখে মৃত্যু ও পরকালীন হিসাব-নিকাশের কথা সর্বদা স্মরণে রেখে তাকওয়া অর্জনে উন্মুখ হতে হবে।
এভাবে মাহে রমজানের কঠোর সংযম সাধনা ও নিয়ন্ত্রণ রক্ষার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাহলেই সিয়াম পালন ও সংযম সাধনা পূর্ণাঙ্গ হবে।
- রামগতিতে জলদস্যু প্রধানকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
- নিষেধাজ্ঞায় চাল পায়নি অর্ধেক জেলে পরিবার
- লক্ষ্মীপুরে ৩ হাসপাতালকে দুই লাখ টাকা জরিমানা
- ফেনীতে যুবক খুন: আদালতে জবানবন্দি দিলেন দোকান কর্মচারী
- ফেনীতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয় সভা
- ফেনীতে এলজিইডি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলার অভিযোগ
- ফেনীতে পুলিশের জালে ব্যাংক থেকে টাকা সরানো হ্যাকার চক্র
- বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন?
- দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
- নোয়াখালীতে এক পুকুরে মিলল ৯ কেজি ইলিশ
- ডাকাত সর্দার গিয়াস ধরা পড়লো র্যাবের হাতে
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- গাজায় নিহত বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার ছুঁই ছুঁই
- ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু
- চাহিদার চেয়েও ‘উদ্বৃত্ত’চাল, তবু দাম বাড়ছেই
- শাহজালাল বিমানবন্দরে ডলার কারসাজি ও পাচারের শক্তিশালী চক্র সক্রিয়
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেই নববধূকে বই উপহার দিলেন কমলনগর ইউএনও
- ‘বিএনপির আমলে টাকা ছাড়া সরকারি চাকরি হতো না’
- সেই মেহেনাজের পাশে একটিভ ফাউন্ডেশন
- নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
- ফেনীতে চার বছরে তরমুজ চাষ বেড়েছে ৪ গুণ, শত কোটি টাকা বিক্রির আশা
- লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মাদক গ্রহণের ভিডিও প্রকাশ
- লক্ষ্মীপুরে দেনমোহরের টাকা চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার
- লক্ষ্মীপুরে ৯ মাসে কুরআনে হাফেজ ১২ বছরের শিশু শামীম
- নোয়াখালীতে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নির্মাণ শ্রমিক নিহত
- নোয়াখালীতে সুলভ মূল্যে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি
- ফেনীতে গরুর মাংসের দাম ৮৫০ টাকা নির্ধারণ
- ফেনীতে ৬৬৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি শুরু
- ফেনীতে গরুর মাংস কিনতে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন, কেজি ৬৬৫ টাকা
- মাইক্রোবাসচাপায় আহত সেই কলেজছাত্রীর মৃত্যু, চালক গ্রেফতার
- তুচ্ছ ঘটনায় বন্ধুর হাতে প্রাণ গেল আবিরের
- নুসরাত হত্যায় বিভাগীয় দায় থেকে অব্যাহতি পেলেন এসপি জাহাঙ্গীর
- নোয়াখালীতে একই দিনে পরীক্ষা-আঙুলের ছাপ, ঘরে বসে মিলছে লাইসেন্স
- সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি
- নোয়াখালীর নিহত ৫ জনের বাড়িতে শোকের মাতম
- নোয়াখালীতে হাজিরা দিতে এসে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মী কারাগারে
- ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ পুলিশ ও ১ বিজিবি সদস্যসহ আহত ১৩
- বসতঘরে আগুনে পুড়ে অঙ্গার ঘুমন্ত বৃদ্ধা
- লক্ষ্মীপুরে বাজারের ইফতার খেয়ে একই পরিবারের ৪ জন অচেতন
- বাড়ির রাস্তা কেটে বেড়া, অবরুদ্ধ ৫০ পরিবার
- আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, আহত ৩
- জিম্মি জাহাজ দুই নাবিকের বাড়ি নোয়াখালীতে চলছে আহাজারি
- বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি
- মোবাইলে দৈনিক ৪১৭৫ কোটি টাকা লেনদেন
- চলতি মাসের এলপি গ্যাসের মূল্য ঘোষণা আজ
- জাহাজসহ জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের সবশেষ অবস্থা জানা গেছে