ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

যেভাবে খুন হলেন নোয়াখালীর সেই ব্যবসায়ী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

নোয়াখালীর চাটখিলের মোহাম্মদপুর ইউপির কুলশ্রী গ্রামে চা ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এক প্রবাসীর স্ত্রী ও তার ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এসপি আলমগীর হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে হত্যার রহস্য উদঘাটনের তথ্য জানান।

তিনি জানান, চা ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করার আগের রাতে মোবাইলে একাধিক কল আসে। সেই তথ্য পুলিশকে জানান নিহতের মেয়ে। এর সূত্র ধরে পুলিশ তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিহত শাহ আলমের কল লিস্ট বের করে। কল লিস্টে কালশ্রী গ্রামের কুয়েত প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের নম্বর পাওয়া যায়। এর ভিত্তিতে বুধবার রাতে তাকে বাবার বাড়ি থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়। এরপর তার ছেলে শান্তসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লাঠিটি উদ্ধার করা হয়। 

তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার ইয়াছমিন ও শান্ত নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব উদ্দিন খান ও মুশফিকুল হকের আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। ইয়াছমিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, নিহত শাহ আলম প্রায় গভীর রাতে মোবাইলে ইয়াছমিনকে বিরক্ত ও রাতে ঘরের দরজা-জানালায় টোকা দিত। এ বিষয়ে ইয়াছমিনের ছেলে শান্ত মুঠোফোনে শাহ আলমকে শাসান। এরপরও সে ইয়াছমিনকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। তাই ছেলের সঙ্গে আলাপ করে শাহ আলমকে শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা করেন ইয়াছমিন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪ সেপ্টেম্বর রাতে শাহ আলমকে ডাকেন ইয়াছমিন। ইয়াছমিনের ফোন পেয়ে শাহ আলম ঘরের দরজা বন্ধ করে ইয়াছমিনের বাড়ির দিকে রওনা হন।  তিনি কুলশ্রী গ্রামের আবুল কালামের দোকানের সামনে এলে শান্ত ও তার সহযোগী শাহ আলমকে আটক করে দোকানের পিছে নিয়ে যান। পরে তার ঘাড়ে কাঠের লাঠি দিয়ে আঘাত করেন শান্ত। পরে শাহ আলমকে উপুড় করে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। 

এসপি আরো জানান, ১২ ঘণ্টার মধ্যে চা ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে।