ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

যেখানে রাস্তার ধুলো উড়ালেই মিলছে সোনা!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বাংলা একটি প্রবাদ আছে ‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন।’ নিশ্চয় এই প্রবাদটি সবারই জানা। যদিও অনেকেই মজা করার ছলে কথাটি বলে থাকেন। তবে সত্যিই যদি এমনটা হয়!
হ্যাঁ, এই কথাটির যথার্থ মানে খুঁজে পাওয়া যাবে কলকাতার শিয়ালদহের বড় বাজার কিংবা বউ বাজারে গেলে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এর পেছনের রহস্যটি-

ভোর হতে না হতে ওখানের মানুষজন হাতে একটা ঠোঙা নিয়ে লেগে পড়েন ধুলো কুড়ানোর কাজে। বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই থাকে এই দলে। বেশ দারুণ জমজমাট ব্যাপার। প্রথম দেখে হয়তো অনেক ভ্যাবাচ্যাকা খাবেন কিংবা গোটা কয়েক ভিমরিও খেতে পারেন। অনেকেতো বলেই ফেলেন- একিরে বাবা ধুলো কুড়ানোর এত হিড়িক। কি আছে এই ধুলোতে!

এই ধুলোতে লুকিয়ে আছে অনেক দামী জিনিস। যা দিয়ে রীতিমত অনেকের সংসারের রুজি রোজগার চলে। এতদূর শুনে নিশ্চয় পুরো ব্যাপারটা জানার আগ্রহ বাড়ছে!

তাহলে এবার পরিস্কার করেই বলা যাক। শিয়ালদহের বউ বাজার অথবা কলকাতার বড়বাজার মূলত পরিচিত সোনা পট্টি হিসেবে। এখানে শুধু যে বড় বড় সোনার দোকান আছে তা নয়, এর সঙ্গে লাইন ধরে গলিগুলোতে আছে ছোট খাটো অনেক সোনার কারিগরদের দোকান। যারা দিনের ২৪ ঘণ্টাই সোনার গয়না বানানোর কাজ করে।

দেখা যায়, গয়না তৈরির সময় যে সোনার গুঁড়া মাটিতে পড়ে তা এতটাই সুক্ষ যে ব্যবহার করা যায়না। সকালে এবং রাতে দোকান যখন ঝাঁড়ু দেয়া হয় তখন ধুলোর সঙ্গে সোনার গুঁড়া মিশে যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এখানে এই সোনা মেশানো ধুলো কুড়ানোর জন্য আশে পাশের অনেক বস্তির লোকেরা লেগে পড়ে। সকালে দোকানপাট খোলার আগে এরা ভিড় জমাতে থাকে। যে আগে যাবে সে অনেক বেশি ধুলো কুড়াতে পারবে। আর সে তত বেশি লাভ করতে পারবে।

ধুলো থেকে সোনা বাছাইয়ের কাজটিও খুব সহজ। এরা সারাদিন যা ধুলো জমায় তা রাতে জলে ভিজিয়ে রাখে। জলের মধ্যে সব ধুলো নিচে পড়ে যায়। আর সোনার গুড়া জলে ভেসে ওঠে। তা ছেঁকে আলাদা করে নেয়। এই প্রক্রিয়াতেই চলে গোটা কাজটা।

বউ বাজারের এক সোনার দোকানদার বলছেন ধুলো থেকে সোনা বাছাইয়ের কাজটা বেশ অনেকদিন থেকে চলে আসছে। এই কাজের সঙ্গে অনেকে যুক্ত আছে। সোনার গুঁড়াগুলো অল্প দামে কিনি এদের থেকে।

মজার একটা ব্যাপার হচ্ছে, ধুলো কুড়িয়ে টাকা আয় করা যায় তা এদের না দেখলে হয়তো জানা যেতো না। তাই ক্ষুদ্র বালিকণাকেও অবহেলা করা ঠিক নয়।