ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ভেঙ্গে ফেলা হবে পুরান ঢাকার গিঞ্জি ভবনগুলো: গৃহায়ণ মন্ত্রী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

পুরান ঢাকার গিঞ্জি এলাকা, ঘনবসতি বা যেখানে রাস্তাঘাটের সুবিধা নেই, সে এলাকার বিল্ডিংগুলো ভেঙে নতুন করে আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।

দায়িত্ব পালনে কি কি চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করছেন?

শ. ম. রেজাউল করিম: এতো বড় একটি মন্ত্রণালয় এবং ১২টি সমন্বিত প্রতিষ্ঠান। এগুলোকে বুঝে নেয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যারা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে নেয়াটাও চ্যালেঞ্জ। মন্ত্রণালয়ের কাজকে কিভাবে গতিশীল করা যায় সেটাও একটি চ্যালেঞ্জ।

নতুন দায়িত্ব পালনে কোন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে কি? 

শ. ম. রেজাউল করিম: দায়িত্ব পালনে আমি কোন প্রতিকূলতা বা প্রতিবন্ধকতা বোধ করছি না। আমার মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব দফতর এবং সংস্থার সবাই আমাকে সহযোগিতা করছে। তবে দীর্ঘ দিনের একটি সনাতনী প্রথা রয়েছে। সেই প্রথাকে ভাঙতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। তবে দু-চারজন থাকতে পারেন, কিন্তু সিদ্ধান্ত যখন আমি নেবো, সবাইকে একাত্ম হতে হবে। কারণ আমাদের টার্গেট মানুষের সেবা দেয়া। আমরা মন্ত্রী নয়, সেবক। জনগণ শুধু সেবাপ্রার্থীই নয়, সেবা পাওয়া তাদের সাংবিধানিক অধিকার। 

পুরান ঢাকায় যত্রতত্র ভবন নির্মাণের ফলে ফায়ার সার্ভিসের বড় গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। চুড়িহাট্টায়ও একই অবস্থা হয়েছিল। বহু ভবন রয়েছে যেগুলো বিল্ডিং কোড অনুযায়ী নির্মিত হয়নি। এসব বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কি?

শ. ম. রেজাউল করিম: আমার পূর্বে যিনি মন্ত্রণালয়য়ের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পুরান ঢাকার ছোট ছোট যে ইমারতগুলো আছে সেগুলোকে একত্রিত করে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করে দেয়া হবে। যার যতটুকু অংশ জায়গা আছে তিনি ওই অনুসারে ফ্ল্যাট পাবেন। বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে এসব বিল্ডিং নির্মাণ করা হবে। সেখানে অনেক সুবিধা থাকবে। এ ব্যাপারে পুরান ঢাকার সব স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গেও কথা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ওই এলাকার অধিবাসীরা এতে রাজি হননি। পুরাণ ঢাকায় একটি রক্ষণশীলতা আছে, তা হলো আমরা পুরান ঢাকার লোক, আমাদের একটি খানদানি পরিবেশ, আমরা এ পরিবেশ ছাড়তে পারবো না।

তবে এতগুলো বিল্ডিং ভেঙে দেয়া, বাস্তবসম্মত নয়। এখন কোনভাবেই বিল্ডিং কোর্ডের বাইরে কোন প্ল্যান দেয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ আমরা কোনভাবেই অনিয়ম নিয়ে দালান নির্মাণ করতে দিচ্ছি না। পূর্বে যে একটা উদ্যোগ ছিল আমরা আবার নতুন করে তা ফের হাতে নেয়া হচ্ছে। গিঞ্জি এলাকা, ঘনবসতি, বা রাস্তাঘাট এর সুবিধা যেখানে নেই, ওইসব বিল্ডিংগুলো ভেঙে দিয়ে চমৎকার বিল্ডিং করে দেয়া হবে। 
 
রাজউকসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতরের অনেকের বিরুদ্ধে অনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না?

শ. ম. রেজাউল করিম: অভিযোগ গণহারে বললে হবে না। সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে। রাজউকের বা গৃহায়নের কোনো কর্মকর্তা অথবা মন্ত্রণালয়ের কারো বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আসে, তাহলে আমরা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবো। কাউকে আমি অনুকম্পা দেখাবো না, এটা সুনিশ্চিত।