ভয়ানক গণধর্ষণের বর্ণনা দিলেন ধর্ষণের শিকার নারী

রামগতিতে আবারো গণধর্ষণের শিকার এক গৃহপরিচারিকা নারী। গত এক মাসের মধ্যে তিনি দুইবার গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায়া প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ধর্ষক ও তাদের আশ্রয় দাতারা। স্থানীয় করিম এবং বাচ্চু নামে দুই ধর্ষক ধর্ষিতাকে হুমকি দিচ্ছে। নির্যাতিতা নারী ধর্ষকদের শাস্তির দাবি জানান।

ধর্ষকরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের লোক বলে ধরাছোঁয়ার বাইরে। নির্যাতিতা নারী বারবার বিচার চাইতে গিয়েও আবারো ধর্ষণের শিকার ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

৩০-৩২ বছরের ওই নারী রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে। কাঁদতে কাঁদতে ওই নারী নির্যাতনের করুণ চিত্রের বর্ণনা দিয়েছেন।  

সেই ধর্ষিতার ভয়ানক গণধর্ষণের বর্ণনা

একটি ভিডিওতে দেখা যায়- কেঁদে কেঁদে ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই নারী বলেন, আমি ওদেরকে চিনছি। এক মাস আগে ওরা আমাকে ধর্ষণ করেছে। মারধর করে আমার পা ভেঙে দিয়েছে। হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। মেরুদণ্ডও ভেঙে দিয়েছে। 

ওই নির্যাতিতা নারী বলেন, এক মাস আগে আমি যখন রাতের বেলা একজনের ভাত রান্না করে যাই তখন ওরা আমাকে ধরে নিয়ে অকথ্য নির্যাতনসহ ওরা গালিগালাজ করে। মারধর করে। তখন আমি বলি আমি কি করেছি। আমারে গালিগালাজ করো কেন। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ওরা আমাকে ৪-৫ জন মিলে ধরে ধর্ষণ করে। টেনে অন্ধকারে নিয়ে যায়। লাঠি রড দিয়ে পেটানোতে আমি প্রস্রাব করে দেই। পরে সেখানে ফেলে গেছে।

ওই নারী আরো বলেন, ‘সেখান থেকে হাসপাতালে গেলে এক্সরে করে দেখা যায় আঙুল পা ফেটে গেছে। মাথা জখম হইছে। রক্ত চাকা হয়ে গেছে। মেরুদণ্ড ফেটে গেছে। পরে এ ঘটনায় আমার ভাই ভাবি কোর্টে মামলা করেছে। মামলার পরে এরা আবার নির্যাতন করে। 

শনিবার রাতে ঘরে ঢুকে আমার হাত-পা বেঁধে, চোখ বেঁধে ফেলে, মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়। তারপর ধর্ষণ করে খাটের নিচে ফেলে দেয়। সেখান থেকে ঘরের বাইরে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় পাশের ঘরের এক নারী না দেখলে ওরা আমাকে নিয়ে যেত। মেরে ফেলত। খবর পেয়ে স্থানীয় মেম্বার আজাদ এসে উদ্ধার করে। মুখের স্কচটেপ খুলে দেয়। চোখের বাঁধন খুলে দেয়। পিঠের বাঁধন খুলে দেয়। 

ওই নারী জানান, এরা পাঁচজন ছিল। ঘরের দেয়াল টপকিয়ে প্রথম একজন ঢুকে। ঘরের ভেতর দিয়ে দরজা খুলে বিছানার চাদর দিয়ে চোখ ,মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।

নির্যাতিত ওই নারী আরো বলেন, আমি ওদেরকে চিনছি। প্রথম যেটা ঘরে ঢুকছে সেটা ঢুকেই মুখের দিকে টর্চলাইট মারে। ঘর তো অন্ধকার। ঢুকেই চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। প্রথম করিম ঢুকছে। পরে জামাল, নোমান, আরিফ, আলাউদ্দিন। ওরা ধর্ষণ করেছে। প্রথম নির্যাতন করেছে মন্নান। অনেক দিন কু প্রস্তাব নিয়ে আসছে। সেও আসছে তার বাবাও আসছে। এসে কুপ্রস্তাব দেয়। আমি মেম্বারকে জানাইছি।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় নুরুল আমিন চেয়ারম্যানকে জানালে সেও ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধর্ষকরা তারই লোক। স্থানীয় নেতা কালাম মাঝির লোকজন এরা। আমার বোন বিচার চাইতে গেলে চেয়ারম্যান তাকে ঘরের দিকে টানে।