ভবাণীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান আওয়ামী লীগ নেতা বাদল

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক বাদল। দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির লক্ষে এরমধ্যে তিনি জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং নিজের সম্ভাব্য প্রার্থীতার ঘোষণা দিচ্ছেন।

আব্দুল খালেক বাদল গত ইউপি নির্বাচন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে নমিনেশন প্রাপ্ত ছিলেন। দলে তার শ্রম ও ত্যাগ বিবেচনা করে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেবে বলে তিনি আশাবাদী।

তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে আওয়ামী রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৮৮-১৯৯২ সাল পর্যন্ত ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৫-১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ভবাণীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৮-২০০২ সাল পর্যন্ত সদর থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য এবং সদর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ লাভ করেন। ২০০৮ সালে ১৪ দলীয় জোটের সদর উপজেলা শাখার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত এ আওয়ামী লীগ নেতা। বর্তমানে সদর থানা আওয়ামীলীগের সদস্য পদে থেকে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করছেন।
এছাড়া সদর উপজেলাধীন ধর্মপুর হাই স্কুলের ২ বারের সভাপতি, ভবানীগঞ্জ কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য’র দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মসজিদ, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব দেন দুঃসময়ে আওয়ামী পরিবারের সন্তান বাদল।
এদিকে মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গৃহবন্ধী গরীব, অসহায় ও দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এসময় প্রায় ২ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। পাশাপাশি পবিত্র ঈদ-উল ফিতর ও ঈদ-উল আযহা এর সময় গরীবদের সাহায্য করে থাকেন তিনি।

জানা যায়, ১৯৭০ সালের ১০ মে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে সম্ভান্ত মসুলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন বাদল। তার বাবা শোখলেছুর রহমান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছিলেন। ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক। শিক্ষা জীবনে তিনি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রী অর্জন করেছেন।

আব্দুল খালেক বাদল বলেন, ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পূক্ত রয়েছি। ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে তার অনেক কর্মী-সমর্থক রয়েছে। সরকারী বরাদ্ধের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করেছি। গরীব-দুঃখি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমি আরো বেশি কাজ করতে চাই। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে আমি দলের প্রার্থীতা চাইবো। আমার একটাই লক্ষ্য, এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখা। সে হিসেবে দল থেকে মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। তিনি  ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করতে পারবেন বলে জানান।