ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ব্রিটেনে গৌরব নিয়ে আছেন পাঁচ লাখের বেশি বাংলাদেশি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

ব্রিটেনে বাংলাদেশি প্রবাসীদের বসবাসের সংখ্যা বেড়েছে। দেশটির এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছরে এ সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে আবার সিলেটিই বেশি। তারা ব্রিটেনের সব পর্যায়ে অত্যন্ত গৌরবের সঙ্গে নিজেদের তুলে ধরেছেন।
বর্তমানে ব্রিটেনের মোট জনসংখ্যার ০.৭১ ভাগ বাংলাদেশি। এর ৯৭ ভাগই সিলেটি।

নাগরিকত্ব দেয়ার হিসাব ১৯৬২ সাল থেকে প্রকাশ করা শুরু করে ব্রিটেন। ২০০৯ সালে দুই লাখেরও বেশি বিদেশি আবেদনের মাধ্যমে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। এটি ব্রিটেনের সর্বকালের রেকর্ড। সে সময় নাগরিকত্ব পাওয়াদের ৫০ শতাংশ পেয়েছেন দীর্ঘ সময় ব্রিটেনে বসবাসের সূত্রে। ২৫ শতাংশ পেয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিককে বিয়ে করার সূত্রে। বাকি ২৫ শতাংশ শিশু।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ২০০৯ সালে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৪০। এ সংখ্যা ২০০৮ সালের তুলনায় ২৩১ শতাংশ বেশি। 

২০১১ সালের ন্যাশনাল অফিস ফর স্ট্যাটিক্স এর জরিপে দেখা যায়, লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকায় রয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ১২৭ জন বাংলাদেশি, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ হাজার ৪শ’ ৭৭ জন বাংলাদেশি আছেন বার্মিংহামে।

এছাড়া ওল্ডহামে আছেন ১৬ হাজার ৩শ’, লুটনে আছেন ১৪ হাজার ৭শ’, ব্রাডফোর্ডে আছেন ১১ হাজার ৯শ’ জন বাংলাদেশি। এছাড়া মানচেস্টার, নিউক্যাসল, কার্ডিফ এবং সেন্ডারল্যান্ডসহ ব্রিটেনের প্রায় প্রত্যেক শহরেই বাংলাদেশিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। 

ইস্ট লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে বর্তমান সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে এর সঠিক হিসাব আগামী ২০২১ সালের আদমশুমারিতে পাওয়া যাবে। 

১৯৬১ সালে প্রথম আদমশুমারিতে বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ৬ হাজার, ১৯৭১ সালে ২২ হাজার, ১৯৮১ সালে ৬৪ হাজার ৫শ’ ৬১ জন,১ ৯৯১ সালে ১ লাখ ৬২ হাজার ৮শ’ ৩৫ জন, ২০০১ সালে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৩ জন ও সবশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারিতে এ সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৫১ হাজার ৫শ’ ২৯ জন। এদের মধ্য অর্ধেকেরও বেশি যারা জন্মসূত্রে বাংলাদেশি।

ব্রিটেনে যে কেউ ৫ বছর পর্যন্ত থাকলে পরবর্তিতে তিনি নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। প্রায় শত বছর ধরে আসা বাঙালিরা ব্রিটেনের সব পর্যায়ে অত্যন্ত গৌরবের সঙ্গে নিজেদের তুলে ধরেছেন। তাদের মধ্য উল্লেখযোগ্যরা হলেন- হাউস অফ কমন্সের এমপি রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক, রুপা হক, টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান, সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনওয়ার চৌধুরী, লেবার পার্টির বিশিষ্ট রাজনৈতিক পলা মনজিলা উদ্দিন, শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ বারি, ব্রিটিশ সঙ্গীত শিল্পী মামজী, ব্রিটিশ সেলিব্রিটি কনি হক, নভেলিস্ট কিয়া আব্দুল্লাহ, ভাষাবিদ ওয়ালী তছর উদ্দিনসহ আরো অনেকে। 

ব্রিটেনে প্রতিটি বাংলাদেশি আজ দেশের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের প্রেরিত রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

ব্রিটেনে ২৪ বছর যাবত স্থায়ী বসবাসকারী দয়ামীর ঘোষগাও গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ মফিদুল গনি মাহতাব  বলেন, ব্রিটেনে আজ আমরা ৬ লাখ বাংলাদেশি ভাবতে ভালো লাগছে। একেকজন বাংলাদেশি বিদেশের মাটিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে রাখছেন বিরাট ভূমিকা।

তিনি বলেন, ব্রিটেনের প্রত্যকটি জায়গায় সুনামের সঙ্গে নিজেদের জায়গা করে নেয়া স্বদেশিদের নিয়ে আমরা গর্বিত। আমাদের নতুন প্রজন্ম আজ এ দেশে ডাক্তার, আইটি ম্যানেজম্যান্ট স্পেশালিস্ট, শিক্ষকতা এবং তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসায় সফলভাবে বিচরণ করছে। 

মফিদুল গনি মাহতাব আরো বলেন, বাংলা ভাষায় অসংখ্য প্রিন্ট মিডিয়া আর বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক মিডিয়া রয়েছে ব্রিটেনে। যা একসময় ছিল না। আমরা এর অভাব অনুভব করতাম। তারা আজ দেশীয় সংস্কৃতি আর দেশকে বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে বড় ভূমিকা রাখছেন।