ব্রেকিং:
নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই অবশেষে ন্যাটোর সদস্যপদ পেলো সুইডেন বাজারে নেই নতুন দামের সয়াবিন তেল, দাম বেড়েছে সবকিছুর ভারতে পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৮ কার্গো জাহাজে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩ চলছে কর্মযজ্ঞ, অক্টোবরে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন রাষ্ট্রপতি গার্ডেন থিয়েটার কুমিল্লার একক নাট্য প্রদর্শনী ১০ রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ ইঞ্জিন বিকল, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ রোজায় কমলো অফিসের সময়সূচি গাড়ি তৈরি করবে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ: শিল্পমন্ত্রী পরিবেশ রক্ষায় চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত বাংলাদেশ ও সৌদি আরব
  • মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

ব্যবসার আড়ালে অবৈধ কর্মকাণ্ড, দম্পতিসহ গ্রেফতার ৪

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

গাড়ি ব্যবসার আড়ালে অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে স্বামী-স্ত্রীসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। 

শনিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে গোপনে দেশ ত্যাগের সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতাররা হলো- শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ (২৮) ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন এবং তাদের দুই সহযোগী সাবিক্ষর খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, বাংলাদেশি জাল নোট ২৫ হাজার ৬০ টাকা, ভারতীয় ৩১০ রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলার এবং ৭টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।  

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক শাফী উল্ল্যাহ বুলবুল গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
  
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে র‌্যাব জানায়, অবৈধভাবে অর্থপাচার ও জাল টাকা প্রস্তুতকারী এই গ্রুপের প্রধান শামিমা নূর পাপিয়া। তারা দীর্ঘ দিন ধরে নরসিংদী ও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও নারী সংক্রান্ত অনৈতিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও নরসিংদী জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তারা চাঁদাবাজির করে আসছিল।

শামিমা নূর পাপিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে র‌্যাব জানায়, সে পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তেজগাঁও এফডিসি গেট এলাকায় অংশীদারিত্বে তার ‘কার একচেঞ্জ’ নামে একটি গাড়ির শো রুম আছে। এছাড়া নরসিংদী জেলায় তার  ‘কেএমসি কার ওয়াস অ্যান্ড অটো সলিউশন’ নামে একটি গাড়ি সার্ভিসিং সেন্টারও আছে। এসব ব্যবসার আড়ালে তিনি অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি সমাজ সেবার নামে নরসিংদী এলাকায় অসহায় নারীদের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সহযোগিতার নামে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করেন। বছরের অধিকাংশ সময় সে নরসিংদী ও রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করে সেখান থেকে তার ও তার স্বামীর ব্যবসায়ীক অংশীদারদের অনৈতিক কাজে নারী সরবরাহ করেন। 

নরসিংদী এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য তার একটি ক্যাডার বাহিনী আছে। এছাড়াও তার স্বামীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অল্প সময়ে তিনি নংসিংদী ও ঢাকায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের মালিক হয়েছেন।

তার স্বামী মফিজুর রহমান পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দেশে তার স্ত্রীর ব্যবসায় সহযোগিতার পাশাপাশ থাইল্যান্ডে তার বারের ব্যবসা আছে। এছাড়াও সেও দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন আছে। সে তার স্ত্রীর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় নারীদের অনৈতিক কাজে ব্যবহার করেন। অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধকর্মের জন্য নরসিংদী এলাকায় তার কুখ্যাতি আছে। নরসিংদীতে ‘কেএমসি কার ওয়াস অ্যান্ড অটো সলিউশন’ নামে গাড়ি সার্ভিসিং প্রতিষ্ঠানটির আড়ালে তার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহার করা হয়। নরসিংদী এলাকায় তার একটি ক্যাডার বাহিনী আছে, যাদের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড করে থাকেন। জেলা শহরের বাইরে গেলে তার ক্যাডার বহিনী তাকে বিশাল গাড়ি বহরের মাধ্যমে মহড়া দিয়ে নিয়ে যায়।

শামিমা নূর পাপিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী হচ্ছে সাবিক্ষর খন্দকার। সে তার দূর সম্পর্কের ভাই। সে সবসময় শামিমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে থাকে। শামিমার ব্যক্তিগত সম্পত্তির হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখাশুনা করে সে। পাশাপাশি তার সব অবৈধ ব্যবসায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা এবং অর্থ পাচার ও রাজস্ব ফাঁকি দিতে সহযোগিতা করে।
অন্যদিকে শেখ তায়্যিবা মফিজুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী। সে মফিজুরের ব্যক্তিগত সম্পত্তির হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখাশুনা করে।