ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা এড়াতে হচ্ছে হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২০  

বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, গ্যাস বিস্ফোরণ, দাহ্য পদার্থ ও রান্নাঘরের আগুনসহ বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড এড়াতে হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি ল্যাবে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের মান ও বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হবে।  

সম্প্রতি প্রকাশিত বিদ্যুৎ আইনের গেজেটে হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আইনের ৬২ ধারায় ল্যাব স্থাপনের কথা রয়েছে। 

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের উৎপাদিত ট্রান্সফরমার এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এই ল্যাব থেকে পরীক্ষা করিয়ে সার্টিফিকেট নিতে হবে। এতে করে ইলেকট্রনিক পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরকারি কোষাগারে অর্থও জমা হবে। কারণ মান যাচাইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুনতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থও।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশজুড়ে ২৪ হাজার ৭৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে ঘটে ৮ হাজার ৬৪৪টি দুর্ঘটনা। যা মোট অগ্নিকাণ্ডের ৩৯ শতাংশ। 

এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করা গেলে এমন অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের শুদ্ধতা নিশ্চিত করে পণ্যের গায়ে লেভেলিং করা গেলে গ্রাহকরা বৈদ্যুতিক পণ্য কেনার সময় সচেতন হবে। মানহীন বা নকল পণ্য তখন কম দামে পেলেও কিনবে না কেউ। ফলে এসব নিম্নমানের পণ্য ব্যবহারের কারণে শর্টসার্কিট থেকে হওয়া অগ্নিদুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। এতে করে অর্থনৈতিক লাভের পাশাপাশি অনেক প্রাণও সহজে বাঁচানো যাবে। 

এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে বলেন, একটি বিশ্বমানের হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করা হবে। এটি পাওয়ার সেলের অধীনে একটি স্বাধীন সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
 
এদিকে বর্তমানে দেশে ২০ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই বিদ্যুতে সেবা পাচ্ছে দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ। মুজিববর্ষেই দেশের শতভাগ অঞ্চল বিদ্যুতায়নের আওয়তায় আনা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে সরকার। যা দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধীরে ধীরে আরো বেশি গতিশীল হচ্ছে। জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীতে শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে যত্মের সঙ্গে কাজ করছে সরকার।