ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বেহেস্তের চেয়ে দোজখের সংখ্যা কম যে কারণে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০১৯  

যে ব্যক্তি কিয়ামত দিবসে মহান আল্লাহ তায়ালার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং গুনাহের কাজ থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে তার ঠিকানা হবে জান্নাত।

যেদিন আল্লাহর আরশের ছায়া ব্যতিত আর কোনো ছায়া থাকবে না। সেদিন যারা আল্লাহর আরশের ছায়া পাবে তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে, যে নির্জনে আল্লাহকে স্বরণ করে এবং তার দু’চোখ অশ্রুতে ভিজে যায়।

যখন আপনার নফস গুনাহ করতে চায় তখন অন্তরকে আল্লাহর দৃষ্টির কথা স্বরণ করিয়ে দিন। যদি কখনো একা থাকেন আর অন্তর বা নফস আপনাকে গুনাহের দিকে আহ্বান করে তখন অন্তরকে বলুন- মহান আল্লাহ সবই দেখছেন। আল্লাহ আমাকে দেখছেন।

যদি আপনি মনে করেন যে, আল্লাহ আপনাকে দেখছেন না। তাহলে আপনি অনেক বড় কুফুরিতে লিপ্ত। অতিসত্তর তওবা করুন।

আবার যদি আল্লাহ আমার সব কর্মকান্ড দেখছেন এ বিশ্বাস নিয়েও যদি আপনি গুনাহে লিপ্ত হন সেটা হবে আপনার চরম অবাধ্যতা। চরম হঠকারিতা। চরম নির্লজ্জতা।

একবার ভাবুন তো, কাল কিয়ামত দিবসের কঠিন মুহুর্তে আপনাকে যখন আল্লাহর সামনে হাজির করা হবে তখন আপনি এর কী জবাব দেবেন?

মহান আল্লাহ তো আমাদের দোজখে দিতে চান না। যদি চাইতেন তাহলে দোজখের সংখ্যা হতো বেশি। কিন্তু না মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে অধিক পরিমানে ভালোবাসেন এবং ক্ষমা করেন বলেই বেহেস্তের চেয়ে দোজখের সংখ্যা কম!

রবের এ মহৎ ভালোবাসার কথা স্মরণ করে নিজেকে নিজে প্রশ্ন করুন, কেন আমরা নিজেদের এভাবে ঠকাচ্ছি? কেন আমরা অকল্পণীয় বিপদকে আহ্বান করছি প্রতিনিয়ত? 

মাত্র দু'দিনের দুনিয়ায় লাগামহীন চলাফেরা এবং মহান রবের অবাধ্য হয়ে কেন পরকালের অনন্ত জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করছি। এটাতো কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না। 

সেই কঠিনতম দিনটিতে মহান আল্লাহর কাছে কী জবাব দেব? যেদিন আমরা জিজ্ঞাসিত হবো, তার উত্তর আমাদের এখনই ঠিক করে নিতে হবে।

প্রতিটি মুহুর্তে আমাদের ভাবতে হবে- আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে দেখছেন। প্রভু আমাকে দেখছেন। সব কিছুর হিসেব একদিন তার কাছে দিতেই হবে। প্রতিনিয়ত এ ভাবনা যদি অন্তরে লালন করতে পারি তাহলে আমরা পাপ থেকে বিরত থাকতে পারবো, ইনশাআল্লাহ!

আসুন দোয়া করি- হে আমার রব! আমার মালিক। তুমি ক্ষমাশীল। দয়াময় প্রভু। আমি তোমার গোলাম। তোমার গোলামের সন্তান গোলাম। আমাকে মাফ করে দাও। আমাকে সঠিক পথে চলার তাওফিক দাও। আমাকে কবুল কর, হে বিচার দিবসের মালিক। আমিন।