ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বিমানবন্দর ব্যবহারে ছাড় আসছে বিভিন্ন চার্জে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২০  

করোনা ভাইরাসে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়া দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোকে বিমানবন্দর ব্যবহারে বিভিন্ন চার্জে ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ২০২১ সাল পর্যন্ত অ্যারোনটিক্যাল চার্জ নেয়া হবে না।

 আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত অ্যারোনটিক্যাল চার্জ ৫০ শতাংশ ছাড় দেয়া হবে। আর এয়ারলাইনসগুলোর কাছে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জ না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া দেশি এয়ারলাইনসগুলোর পাশাপাশি বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোকেও কিছু ছাড় দেয়ার সুপারিশ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

জানা গেছে, দেশের বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার, রাডারের তথ্য ব্যবহার, ওভারফ্লাইংসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এয়ারলাইনসগুলো থেকে বিভিন্ন চার্জ আদায় করে বেবিচক। এসব চার্জ বাবদ প্রতি মাসে ১১০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা আয়। কিন্তু মার্চ থেকে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকায় বেবিচকের আয় প্রায় শূন্যে পৌঁছে গেছে।

সূত্র জানায়, ছাড়ের এই বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়কে ভ্যাট সংক্রান্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। কারণ চার্জের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করে এনবিআর। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে এটি কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এয়ারলাইনসগুলোকে দেউলিয়ার হাত থেকে বাঁচাতে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান চেয়ে গত মাসে চিঠি দিয়েছে বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলোর পক্ষে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। এর আগে গত মার্চে নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের ঝুঁকি নিরসনের কর্মপন্থা নিরূপণের জন্য জরুরি সাধারণ সভা করে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)।

সংকটকালে সিভিল এভিয়েশন চার্জ, যন্ত্রাংশ আমদানিতে অগ্রিম কর ও জ্বালানির ওপর আরোপিত কর বাতিলের দাবি জানায় সংগঠনটি। এছাড়া অন্তত দুই প্রান্তিকে ব্যাংক পাওনা সুদবিহীনভাবে ডেফার্ড পেমেন্টের ব্যবস্থা করারও দাবি জানানো হয়।

এদিকে ১ এপ্রিল দেশের পর্যটন খাতে নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে আর্থিক ক্ষতির হিসাব করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর কাছে চিঠি দিয়েছে প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) গ্লোবাল এক্সিকিউটিভ বোর্ড মেম্বার ও বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান শাহীদ হামিদ।

চিঠিতে ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত আর্থিক ব্যবসা হারানোর চিত্র তুলে ধরা হয়। বলা হয় এভিয়েশন খাতে বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো ব্যবসা হারাবে ৬০০ কোটি টাকার এবং এ খাতে চাকরি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে দুই হাজার জনের। এছাড়া ৩ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হারাবে ট্রাভেল এজেন্টরা, চাকরি হারাতে পারেন ১৫ হাজার জন।

এদিকে অভ্যন্তরীণ রুটে অ্যারোনটিক্যাল চার্জে ৩০ হাজার কেজি পর্যন্ত ওজনের উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক ফ্লাইটের অ্যারোনটিক্যাল ফি একই রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি।

দেশীয় এয়ারলাইনস সূত্র জানায়, দেশীয় এয়ারলাইনসগুলোর বেস স্টেশন ঢাকাতেই। দেশীয় এয়ারলাইনস রয়েছে ৫টি। ফলে অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক যে কোনো ফ্লাইট শেষে দেশেই উড়োজাহাজকে ল্যান্ডিং করতে হয়। বর্তমানে দেশের ভেতরে ফ্লাইট শেষে একটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজকে ল্যান্ডিংয়ের জন্য ২ হাজার ৪০৩ টাকা চার্জ দিতে হয়।

কিন্তু একই উড়োজাহাজকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শেষে দেশের যে কোনো বিমানবন্দরে ল্যান্ডিংয়ের জন্য ৩৩ হাজার ৯২৪ টাকা চার্জ দিতে হয়।

এছাড়া দেশের ভেতরে ফ্লাইট শেষে প্রতিবার ল্যান্ডিংয়ের জন্য একটি এটিআর-৭২ উড়োজাহাজকে দিতে হয় ৩ হাজার ৯২২ টাকা, এমব্রয়ার-১৪৫ উড়োজাহাজের জন্য দিতে হয় ৪ হাজার ১৭৫ টাকা, বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজের জন্য দিতে হয় ১৮ হাজার ৬১৯ টাকা, এমডি-৮৩ উড়োজাহাজের জন্য দিতে হয় ১৯ হাজার ১৪৬ টাকা, এয়ারবাস-৩১০ উড়োজাহাজের জন্য দিতে হয় ৫২ হাজার ৩৩১ টাকা।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শেষে দেশের ভেতরে যে কোনো বিমানবন্দরে ল্যান্ডিংয়ের জন্য একটি এটিআর-৭২ উড়োজাহাজের জন্য দিতে হয় ৪৬ হাজার ৩১৫ টাকা, ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজের জন্য দিতে হয় ৩৩ হাজার ৯২৪ টাকা, এমব্রয়ার-১৪৫ উড়োজাহাজের জন্য দিতে হয় ৪৬ হাজার ৮৩২ টাকা, বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজের জন্য দিতে হয় ১ লাখ ১২ হাজার টাকা।

দেশীয় এয়ারলাইনসকে যে কোনো ফ্লাইট শেষে দেশেই ফিরতেই হয়, ফলে আন্তর্জাতিক হারে চার্জের ফলে এগুলোর পরিচালনা ব্যয় বাড়ে। এজন্য এয়ারলাইনসগুলো অ্যারোনটিক্যাল চার্জ কমানোর দাবি করে আসছে সিভিল এভিয়েশনের কাছে।

এয়ারলাইনসগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সিভিল এভিয়েশন। আঞ্চলিক রুটের আওতায় ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটানের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাবে এয়ারলাইনসগুলো।