ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

বার্সায় থাকার ব্যাপারে মেসির বিস্তারিত সাক্ষাৎকার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০  

দেড় সপ্তাহ আগে বুরোফ্যাক্সের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ক্লাব বার্সেলোনা ছাড়তে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তবে নানা কারণে মত পাল্টেছেন তিনি। নানা নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত কাতালান ক্লাবটিতে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। 

শুক্রবার বার্সেলোনায় আরো এক বছর থাকার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন মেসি। এর কিছুক্ষণ পর ফুটবলবিষয়ক সংবাদমাধ্যম গোল ডটকমকে সাক্ষাৎকার দেন এই বার্সা ফরোয়ার্ড। সেই সাক্ষাৎকার অনুবাদ করে ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

‘আমি যখন আমার পরিবারকে জানালাম আমি বার্সা ছাড়তে চাই তখন নাটকীয় এক অবস্থার সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিলো। পুরো পরিবারের সবাই অনেক কান্নাকাটি করছিল। আমার বাচ্চারা কেউই এখানকার স্কুল এবং বন্ধুদের ছেড়ে যেতে চাচ্ছিলো না।’

‘কিন্তু আমি সবসময় সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে চেয়েছি। আপনি হয়তো কখনো জিতবেন আবার কখনো হেরে যাবেন। কিন্তু আপনাকে সবসময় জেতার চেষ্টা করতে হবে আর আমি এটাই করতে চেয়েছি।’

‘আমি সবসময় জানতাম যে মৌসুম শেষে আমি ফ্রি হয়ে যাব। বোর্ড প্রেসিডেন্টও সবসময় বলে এসেছে যে মৌসুম শেষে আমি যেকোনো জায়গায় যেতে পারব, যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব। মূলত রোমা, লিভারপুল ও লিসবনে ভয়ংকর ফলাফলের পর আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলাম।’

‘ওরা (বার্সা বোর্ড) দাবি করছে আমি কেন জুনের ১০ তারিখের আগে কিছু জানাইনি। অথচ সেই সময়ে আমরা লিগ এবং সবধরণের প্রতিযোগিতার মাঝপথে ছিলাম। করোনাভাইরাসের কারণে লিগও পিছিয়ে গিয়েছিলো। তাই এখন অনেকটা বাধ্য হয়েই আমি এই মৌসুমটা খেলব। অন্যথায় আমাকে ক্লাব ছাড়তে হলে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো বাই আউট ক্লজ দিতে হবে যেটা একেবারেই অসম্ভব একটা বিষয়।’

 

সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন মেসি

সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন মেসি

‘আরেকটা উপায় ছিল। সেটা হচ্ছে কোর্টে গিয়ে মামলা করা। কিন্তু আমি সেদিকে একেবারেই যাব না কারণ আমি বার্সা কে ভালোবাসি। আমি কখনোই বার্সেলোনার বিপক্ষে মামলায় যেতে চাই না। আমি যখন থেকে এখানে এসেছি এই ক্লাবই আমাকে সবকিছু দিয়েছে।’

‘বার্সা আমার জীবনের মতোই প্রিয় এবং এখানেই আমি আমাকে খুঁজে পেয়েছি। বার্সা আমাকে সব কিছু দিয়েছে ও আমিও বার্সাকে সব কিছু দিয়েছি। তাই কখনোই আমার মাথায় ক্লাবের বিপক্ষে কোর্টে যাওয়ার চিন্তা আসেনি।’

‘মাতেও এখনো অনেক ছোট, তাই সে তেমন কিছু বুঝতে পারছে না। কিন্তু থিয়াগো টিভিসহ আশেপাশের অনেক কিছুই দেখছে। সে অনেকবার আমাকে বলেছে, বাবা যেও না। সত্যি বলতে এটা আসলেই অনেক বেশি কষ্টের ছিলো।’

‘আমি বার্সাকে ভালোবাসি এবং জানি এর চেয়ে ভালো জায়গা আর কোথাও পাব না। কিন্তু তবুও বলব, আমার যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রয়েছে। আমি নতুন কিছু অর্জন করতে চেয়েছিলাম।’

‘আমার বাচ্চারা এখানেই বড় হয়েছে। আমার পরিবারও এখানে অভ্যস্ত হয়েছে। কিন্তু তারপরও আমি বলব, ক্লাব ছাড়তে চাওয়া দোষের কিছু না। এটা আমার দরকার ছিল, ক্লাবেরও দরকার ছিল। উভয়পক্ষই এটাতে উপকৃত হতো।’ 

‘আর হ্যাঁ, আমার স্ত্রীকে ধন্যবাদ। কারণ সে সকল কষ্ট বুকে চেপে রেখেও আমাকে পুরোটা সময় সমর্থন দিয়ে গেছে।’