ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফেসবুক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ প্যানেল তৈরির সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ফেসবুকের ত্রুটি বিচ্যুতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার দায়িত্ব বিশেষ একটি প্যানেল দিতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। ওই প্যানেলের হাতে ফেসবুক পরিচালনা পর্ষদের ভুল সিদ্ধান্ত শোধরানোর ক্ষমতা থাকবে। এ প্যানেল স্বাধীনভাবে কাজ করবে। সম্প্রতি এমনই একটি প্যানেল তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসি অনলাইন।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে ফেসবুকের বিশেষ এ প্যানেল প্রথম শুনানি করবে। বিতর্কিত উপাদান ও নতুন নীতিতে প্রভাব–সংক্রান্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা থাকবে এ প্যানেলের কাছে। এ ধারণাটিকে ‘ফেসবুকের সুপ্রিম কোর্ট’ বা ফেসবুকে সর্বোচ্চ আদালত বলা হচ্ছে। বিশ্বের ৪০ জন সদস্যকে নিয়ে এ প্যানেল তৈরি করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে এর সদস্য সংখ্যা কম থাকবে।

ফেসবুকের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে ফেসবুকের উদ্দেশ্য ও প্যানেলের সদস্যদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো বার্নি হোগান বলেন, ফেসবুকের কোনো আদালত নেই, সেখানে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার বা মার্ক জাকারবার্গের ভোট প্রাধান্য পায়। ফেসবুকের সর্বোচ্চ আদালত নাগরিকদের কোনো দায়িত্ব ছাড়াই প্রকৃত বিচারিক অনুশীলনের সব আড়ম্বরপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুরুতে ১১ জনের মতো খণ্ডকালীন সদস্য নিয়ে প্যানেল তৈরি করা হবে। প্যানেলের সদস্যদের নাম ও তাদের সব বক্তব্য প্রকাশ্যে জানানো হবে। ওই প্যানেলের সদস্যরা ফেসবুকের তৈরি বিশেষ ট্রাস্টের মাধ্যমে বেতন পাবেন।

ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেন, প্রতিদিন আমাদের নীতিমালা প্রয়োগ করার পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে লাখ লাখ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। তবে আমি মনে করি না, আমাদের মতো প্রাইভেট কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারে।ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের তৈরি প্যানেলের মূল কাজ হবে ফেসবুকের কনটেন্ট সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা। প্রয়োজন পড়লে ফেসবুকের সিদ্ধান্ত বদলে দেয়া। ফেসবুকের বাইরে স্বাধীন কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুকের হাতে যে বিশাল ক্ষমতা এসেছে তার কিছুটা ভারসাম্য রক্ষা করতেই এ পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। এ ছাড়া ক্ষমতার সঙ্গে ফেসবুকের ওপর বিভিন্ন দেশে নিয়ন্ত্রণের যে বিষয়গুলো উঠে আসছে তা থেকে মুক্তি পেতেও এ ধরনের পদক্ষেপের দিকে হাঁটতে পারে তারা।হোগান বলেন, কোনো কিছু করার উদ্যোগ থেকেই ফেসবুকের প্যানেল সৃষ্টি, তবে তা কতটুকু পার্থক্য গড়বে সেটাই দেখার বিষয়।