ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা ২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে সেতু, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বাহারের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দেখছেন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটপাত সংকুচিত হওয়ায় রাস্তায় নামছে মানুষ, বাড়ছে জ্যাম

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯  

রাজধানীর অধিকাংশ সড়কের পাশে ফুটপাতে গড়ে তোলা হয়েছে দোকানপাট। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি ফুটপাত নাকি ব্যবসাকেন্দ্র। হাঁটার জায়গাজুড়ে পণ্যসামগ্রীর পসরা আর হকারদের ব্যস্ততা। পথচারীরা ফুটপাতে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় হাঁটবেন, সেখানেও একই অবস্থা। রাস্তা দখল করে গাড়ি পার্কিং আর হকারদের ব্যবসা। উপায় না পেয়ে মানুষ মূল সড়কের প্রায় মাঝামাঝি পথে হেঁটে চলে। রাস্তায় মানুষের চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। পাশাপাশি যান চলাচলে শৃঙ্খলা রাখাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

মতিঝিল, কারওয়ানবাজার, ফামর্গেটসহ বেশিরভাগ এলাকার ফুটপাতের এমন অবস্থা নিত্যদিনের। ছোট ছোট দোকান, ব্যবসাসামগ্রী আর হকারদের ঠেলে গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রতিদিনই হয়রানি পোহাচ্ছেন পথচারীরা।

একদিকে ফুটপাত দখল, অন্যদিকে রাস্তায়ও ঠিকভাবে হাঁটার অবস্থা নেই। ফুটপাত থেকে নামতেই রাস্তার পাশজুড়ে সারি সারি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল অবৈধ পার্কিং করে রাখা হয়েছে। এসব অবৈধ পার্কিং এর কারণে মূল সড়কের যানবাহন চলাচলেও প্রতিবন্ধকতা হতে দেখা গেছে। 

একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, দিনকে দিন রাজধানীতে চলাচল অনুপযোগী হয়ে উঠছে। রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে থাকতে হয়। জ্যাম ঠেকাতে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। কিন্তু ফুটপাত দিয়ে চলাচল করার সে পরিস্থিতি নেই। বেশির ভাগ ফুটপাতে এমনভাবে দোকান বসানো হয়েছে। মনে হয় জায়গাটি দোকানপাটের জন্য রাখা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় চলাচল করা।   

সুস্মিতা চৌধুরী নামের আরেকজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীতে দুইকোটির উপরে মানুষের বসবাস। চলাচলে আগের চেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়। গাড়ি কিংবা বাস যাই ব্যবহার করা হোক না কেন জ্যামে পড়তেই হচ্ছে। তার উপর পথচারীরদের চলাচলের জন্য রাখা ফুটপাতে কি নেই? ভাতের হোটেল, প্যান্টের দোকান, বাদাম, হাড়ি পাতিল, চা-সিগেরেটের দোকান। শুধু মানুষ হাঁটার জায়গাটি হারিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় ফুটপাতের পাশে পার্কিং করা থাকে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল। তাই জীবনের ঝুঁকি জেনেও মূল সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। 

ফুটপাতে দোকান বসানো নিয়ে হকারদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা বলেন, আমরা বিনে পয়সায় ব্যবসা করি না, পুলিশ আর লাইনম্যানকে টাকা দিয়ে থাকি। মাঝে মাঝে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট উঠিয়ে দেয়। আমরা আবার কয়েকদিন পরে বসে পড়ি।

কারওয়ান বাজারে কথা হয় ট্র্যাফিক সার্জেন্ট আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, মূল রাস্তা দখল করে এসব দোকান বসার ফলে রাস্তায় যান চলাচলের পাশাপাশি স্থান সংকুচিত হয়ে পড়ছে। ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় পথচারীরা মূল রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। এতে মাঝেমধ্যেই এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে এবং রাস্তায় তৈরি হচ্ছে যানজট।

তিনি আরও বলেন, রাস্তা সংকুচিত হওয়ায় ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে অনেক ব্যাঘাত ঘটছে। তার মতে যাত্রাবাড়ীর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক থেকে স্থায়ীভাবে অবৈধ দখল ও হকারমুক্ত রাখা জরুরি। তবে তাদের নির্দিষ্ট স্থানে পুনর্বাসনের পক্ষে মত দেন তিনি।

এদিকে আজ বুধবারও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে থেমে থেমে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। একটি সিগন্যাল পার হতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় ব্যায় করতে হয় যানবাহনগুলোকে।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মেট্রোরেলের কার্যক্রমের কারণে অনেক রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় জ্যামের মাত্রা কিছুটা বেড়েছে বলে মনে করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট(এআরআই) এবং রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যানজটের কারণে রাজধানীতে একটি যানবাহন ঘণ্টায় যেতে পারে গড়ে ৫ কিলোমিটার। ১২ বছর আগেও এই গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকার ফলে যাত্রীদের মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। এই চাপ আবার কাজ করছে অন্যান্য রোগের উৎস হিসেবে। পাশাপাশি যানজটের কারণে শুধু ঢাকায় দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। যার আর্থিক ক্ষতি বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা।