ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

প্রেমিকার কাছে প্রেমপত্র ফেরত এল ৭০ বছর পর, কিন্তু প্রেমিক...

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

কিম রোয়ি তার চিলেকোঠার ঘর পরিষ্কার করছিলেন। সে সময় খুঁজে পেয়েছেন অনেকগুলো চিঠি। এগুলো ১৯৪৮ এবং ১৯৪৯ সালের মাঝামাঝি লেখা হয়েছে। চিঠিগুলোর প্রাপক এবং প্রেরক কেন্টে থাকা নরমা হল এবং ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে দেশের বাইরে কাজ করা বব বিয়াসলে। 
এ প্রসঙ্গে কিম বলেন, আমার মা ২০ বছর আগে যখন আলদেরশটে থাকতেন তখন তার এক প্রতিবেশী চিলেকোঠার ঘরে এই চিঠিগুলো পান। সে সময় তিনি এগুলো ফেলে দিতে চেয়েছিলেন।

তিনি আরো বলেন, আমার মা সেগুলো দেখতে পান এবং অবশেষে বুঝতে পারেন সেগুলো প্রেমপত্র। মায়ের মন আর সেগুলো রাস্তার ময়লা ফেলার জায়গায় ফেলে দিতে সায় দিল না। আমার মা- চেরি ভ্যালেন্স এক ঝলক দেখেই বুঝে গেলেন এটা কারো প্রেমপত্র। তাই তিনি চাননি সেগুলোর অযত্ন হোক।

চেরি সমারসেটে বাসা বদলের সময় চিঠিগুলো তার সঙ্গে নিয়ে যান। তিনি ২০১৬ সালে মারা যান। তাই চিঠির মালিক নরমা হল এবং বব বিয়াসলেকেও তার পক্ষে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি।

আর এই বছর চিঠিগুলো কিমের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি মালিকের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে চেয়েছেন। আর ভাবলেন, সেটা করতে হবে এখনিই যাতে দেরি হয়ে না যায়।

তিনি বলেন, আমি তথ্য নেয়ার জন্য মাত্র দুটি চিঠি পড়েছি। বাকিগুলো তাদের ব্যক্তিগত বিষয় মনে হওয়ায় আর পড়িনি। বব নিশ্চয় নরমাকে অনেক ভালোবাসতো। আর চিঠিগুলো সংরক্ষণ করতো নরমা।

কিম একটি চিটির খাম ফেসবুকে পোস্ট করে বন্ধুদের উদ্দেশ্যে লেখেন, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন বব সেনাবাহিনীতে কাজ করতো আর নরমা কেন্টে থাকতো। পোস্টমার্কে ১৯৪৮ এবং ১৯৪৯ সালের কথা উল্লেখ আছে। ফেসবুক দয়া করে আপনাদের যা করার আছে সেটা করুন।

তবে তিনি ভাবতেই পারেননি তার এই সাহায্যের আহ্বান ১১ হাজার বার শেয়ার, ১৫০০ প্রতিক্রিয়া হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটা ঠিকানা এবং নতুন একদল এ যুগের 'পত্রবন্ধু' জুটে গেল।

একজন বন্ধু ফেসবুকে লিখলেন, তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন এই দম্পতি ১৯৫১ সালে আক্সব্রিজে বিয়ে করেছেন। কিন্তু ওই ঠিকানায় একটা চিঠি পাঠালেন এবং আশা করলেন তিনি ঠিক পরিবারের কাছেই পাঠিয়েছেন। তিনি চাচ্ছিলেন এই চিঠির মালিকদের হাতে চিঠির বক্সখানা ফিরিয়ে দিতে।

১৯৪০ এর দশকের কথা। নরমা বিয়েসলি যখন ববের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তখন তার বয়স ১৮। তারা বন্ধু ছিলেন। পরে তাদের সম্পর্ক এক দীর্ঘস্থায়ী রোমান্টিক সম্পর্কে গড়ায়। নরমার বয়স এখন ৮৮। এই চিঠির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই ছিলো না।

বব যখন সেনাবাহিনীতে ছিলেন তখন নরমা তার মা-বাবার বাড়িতে থাকতেন। নরমা যখন কিমের কাছ থেকে চিঠি পেলেন তখন অত্যন্ত বিমর্ষ হয়ে পরলেন। কারণ তার কয়েক মাস আগেই বব মারা গেছেন ২০১৮ এর ডিসেম্বরে। তিনি দ্রুত কিমকে উত্তর দিলেন চিঠিগুলো পাঠিয়ে দেয়ার জন্য এবং অবাক হলেন যে সেগুলো এখনো সেই আগের জুতার বক্সের মধ্যেই আছে।

নরমা বলেন, বব মধ্যপ্রাচ্য এবং মিশর থেকে ফিরে আসার পরেই তারা বিয়ে করেন। পরে ১৯৫১ সালে বাকিংহ্যামশায়ারে এক গ্রামে চলে যান। বব তখন কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। আর নরমা একটা অফিসে কাজ নিলেন। তাদের ৫ সন্তান এবং ৬ জন নাতি-নাতনী রয়েছে। তিনি তাদের পুরনো দিনের কথা স্মরণ করছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রথমে শুধু বন্ধু হিসেবে একে অপরকে লেখা শুরু করলাম। এরপর এটা বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু হয়ে গেল। সে তার জীবন সম্পর্কে বলতো আর আমি বলতে আজ বাড়িতে কি হয়েছে। আমি মনে করি মিশরে তার জীবন আমার জীবনের চেয়ে বেশি মজার ছিলো। আমি চিঠি লিখতে পছন্দ করতাম না। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে আমি তাকে একটা চিঠি লিখতাম এবং একটা ম্যাগাজিন পাঠাতাম।

যাইহোক যদিও তিনি চিঠিগুলো পেয়ে খুশি হয়েছেন। কিন্তু যেহেতু বব আজ আর বেঁচে নেই তাই তিনি চিঠির খামগুলো খুলতেও আজ আর সাহস পাচ্ছেন না।

তিনি বলেন, চিঠিগুলো আগের মতই রঙ্গিন কাগজে মোড়ানো আছে আমি যেমনটা করে পাঠাতাম। কিন্তু এখন আমি আর সেগুলো পড়তে পারবো না।