ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকরি মেলা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০১৯  

বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রির সঙ্গে সব ধরনের যোগ্যতা অর্জন করলেও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের বড়ো একটা অংশ পিছিয়ে রয়েছে। প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান সহজ করার লক্ষ্যে তিন বছর যাবত্ আয়োজন করা হচ্ছে চাকরি মেলার। বেসরকারি সংস্থাগুলো প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান বাড়াতে গ্রহণ করছে নানামুখী প্রকল্প।
দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধী হলেও তাদের একটি বড় অংশের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করা যাচ্ছে না চাকরিদাতাদের অনাস্থার কারণে। সরকারি অফিসে ৫ শতাংশ প্রতিবন্ধীকে কাজের সুযোগ দেয়া বাধ্যতামূলক। বর্তমানে ১৪টি মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী ও অটিজম আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে কাজ করছে। তবে আটটি মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে খুব বেশি তত্পর। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা অনেক বেশি। সূত্র: বাসস।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা কিশোর কুমার সিংহ জানান, প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানে কাজ করার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। সামষ্টিক পর্যায়ে সরকারি নীতির সঙ্গে বেসরকারি সংগঠনগুলোর কাজের সমন্বয়, সরকারি নীতিকে কার্যকর করা এবং প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর সমন্বয় দরকার। সেই সমন্বয় না হওয়ায় কাজের ঘাটতি থেকে যায় মন্তব্য করে তিনি জানান, সরকারি অফিসে ৫ শতাংশ প্রতিবন্ধীকে কাজের সুযোগ দেয়া বাধ্যতামূলক।

এদিকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, কাজের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কাজ থেকে প্রতিবন্ধীদের ঝরে পড়ার হার প্রায় শূন্য। কেননা, তারা অনেক বেশি নিয়মানুবর্তী। ব্র্যাকের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রধান কর্মকর্তা আহমেদ তানভির আনাম জানান, ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৫৩ জন প্রতিবন্ধী তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ২০১৭ সালে এ কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছেন ৮৬৭ জন। তাদের মধ্যে ৯৯ শতাংশের চাকরি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে প্রতিবন্ধীদের দক্ষতা কাজে লাগানোর সাফল্য কী করে প্রাতিষ্ঠানিক খাতেও অর্জন করা যায়, সেই পথ খোঁজার তাগিদ দিয়েছে প্রতিবন্ধীবান্ধব সুধি সমাজ। প্রতিবন্ধীদের চাকরি দেয়ার লক্ষ্যে দেশে প্রায়শই চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে ২৮ আগস্ট একটি চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়।

সিলেটের বিভিন্ন খাদ্য উত্পাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান, আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান এই চাকরি মেলায় অংশ নেয়। এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য চার শতাধিক প্রতিবন্ধী আবেদনপত্র জমা দেন। অর্ধশতাধিক প্রতিবন্ধীকে চাকরি দেয়া হয়। এর আগে গত বছরের শেষ দিকে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবন্ধীদের চাকরি মেলা। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর আয়োজন করে।

জানা গেছে, এ মেলা থেকে স্বনামধন্য অনেক প্রতিষ্ঠানই খুঁজে নিয়েছে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে। উদ্যোক্তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন, আগামী তিন বছরে সাড়ে ৩ হাজার প্রতিবন্ধীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরি নিশ্চিত করা হবে এবং আইটি সেক্টর ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সারাদেশে ২৮টি সেন্টারে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং সে লক্ষ্যে কাজও চলছে।

প্রতিবন্ধীদের নিয়োগ বিষয়ে সিআরপির প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক রমেশ চন্দ্র হালদার জানান, প্রতিবন্ধীদের নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে পোশাক খাতের কয়েকটি ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে। বিশেষ করে যেসব কারখানা থেকে এই ব্র্যান্ডগুলো পোশাক নিয়ে থাকে। গত ১১ বছরে এভাবে ২ হাজার প্রতিবন্ধী বিভিন্ন কারখানায় নিয়োগ পেয়েছেন।