ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পৃথিবীর সুন্দরতম নীল মসজিদ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০১৯  

সুলতান আহমেদ মসজিদ ইস্তানবুলের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ যেটি ব্লু মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটির ভেতরের দেয়াল নীল রং এর টাইলস দিয়ে সুসজ্জিত বলে এই মসজিদটি ব্লু মস্ক বা নীল মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটি ১৬০৯ থেকে ১৬১৬ সালের মধ্যে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান আহমেদ বখতি নির্মাণ করেন।
মসজিদের মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা ১০ হাজার। দৈর্ঘ্য ২৪০ ফুট, প্রস্থ ২১৩ ফুট, প্রধান গম্বুজের উচ্চতা ১৪১ ফুট। মিনারের উচ্চতা ২১০ ফুট।

এ ছাড়া দিনের বেলায় শত শত রঙিন কাচের জানালা আর রাতে মসজিদের প্রধান পাঁচটি গম্বুজসহ মোট ১৩টি গম্বুজ ও ছয়টি মিনার থেকে নীল আলোর বিচ্ছুরণে তৈরি হয় মোহময় পরিবেশ।
 
১৬০৯ থেকে ১৬১৬ সালের মধ্যে প্রথম আহমেদের শাসনামলে মসজিদটির নির্মাণ হয়। ৪০০ বছর পরও তুরস্কের ব্লু  মসজিদ আজো পৃথিবীর সুন্দর মসজিদের স্থানে গৌরবের সঙ্গে দাড়িঁয়ে আছে। 

মসজিদটির ঐহিহাসিক গুরুত্ব, ধাপে ধাপে (কাসকেডিং) সাজানো গম্বুজ, ছয়টি মিনার, বিশাল সাহান, উচ্চ মূল্যবান সিলিং, অনেক দূর থেকেও দৃশ্যমান হওয়া, গাছাগাছালি ঘেরা এর চারপাশের বিশাল খোলামেলা পরিবেশ, পার্র্ক সাজানো সড়ক, বাড়িঘর, নীল জলাধাররের ফোয়ারা, মসজিদের অভ্যন্তরীণ হাতের কাজ সব মিলিয়ে ইংরেজিতে প্লেস অব ম্যাজিক অ্যান্ড ওয়ান্ডার হিসেবে পরিচিত এ মসজিদ। 

বাইজানটাইন শাসকদের প্রাসাদের পাশে হাজিয়া সোফিয়া মসজিদের সামনে অবস্থিত ব্লু  মসজিদ। এক সময় এলাকাটি বাইজানটাইন শাসকদের রাজপ্রাসাদ ছিল। 
 
দেয়াল, গম্বুজ, সিলিং, খুঁটির বাহারি কারুকাজ, মোহনীয় রঙের ব্যবহার, মসজিদের বিশালত্ব, পুরনো দিনের বিশালকায় দেয়াল, সাহানের মাঝে ঝর্ণা, রঙিন কাচের ২০০ জানালা, মসজিদের উপরিভাগে হাতে করা কারুকাজের ২০ হাজার সিরামিক টাইলস, কুরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি, স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য, প্রভৃতি যেমন এ মসজিদের সৌন্দর্যের উৎস তেমনি একে বিশেষত্ব দান করেছে এর বাইরের পরিবেশ। মারমারা সাগরের নীল জলরাশির পাশে এর অবস্থানও মসজিদটির ব্লু  বা নীল নামের সার্থকতা বহন করছে। 

দীর্ঘকাল ধরে তুরস্কের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এ মসজিদ। মুসলমান ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের হাজার হাজার লোকজন প্রতিদিন এ মসজিদ দেখতে আসেন। তুরস্কে সফরে গিয়ে এ মসজিদ না দেখে ফিরেছেন এমন লোক সম্ভবত খুব কম।