ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পঞ্চাশ বছরে নোয়াখালীর আয়তন বেড়েছে ৭৩ কিলোমিটার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২০  

নোয়াখালীর ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এর আয়তন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েক যুগ ধরেই এই আয়তন বাড়ছে। নোয়াখালী জেলায় গত পঞ্চাশ বছরে ৭৩ কিলোমিটার (২8 বর্গ মাইল) বেশি জমি জেগে উঠেছে নদীগর্ভ থেকে। মেঘনা মোহনায় পলিমাটি জমা হয়ে পলিমাটির  যে চর গুলো জেগে উঠেছে সেগুলোর পরিমাণ ৭৩ কিঃমি। ধীরে ধীরে এটি আরো বাড়ছে।

নোয়াখালীর ভৌগলিক অবস্থান যদি বিবেচনা করি তাহলে এর উত্তর দিকে রয়েছে কুমিল্লা জেলা, দক্ষিণে রয়েছে মেঘনার মোহনা আর বঙ্গোপোসাগর। এই জেলার পূর্বে রয়েছে ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলা আর পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর ও ভোলা জেলা। যদিও পূর্বে ফেনী, নোয়াখালী আর লক্ষ্মীপুর নিয়ে একটিই জেলা ছিল। কিন্তু প্রশাসনিক কাজের অগ্রগতির লক্ষ্যে এটিকে তিনটি জেলায় রূপান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ফেনী ও লক্ষ্মীপুর  আলাদা জেলা হিসেবে বিবেচিত হলেও তাদের নোয়াখালীর সাথে রয়েছে আত্মার সর্ম্পক। তাদের আচরণ -ব্যবহার ও ভাষাগত বৈশিষ্ট্য একই রকম।

নোয়াখালী জেলার আয়তন ৪২০২ বর্গ কিঃমি বা ১৬২২ বর্গমাইল। এটি সমতল ভূমি ও উপকূলীয় অঞ্চল নিয়ে গঠিত।মেঘনা নদীর মোহনা জোয়ারের প্রভাবে এটি নতুন ভূমি সৃষ্টি করছে। নোয়াখালী অঞ্চলটি জোয়ার ভাটা দ্বারা প্রভাবিত হয়। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চরৈ প্রায়ই জোয়ার ভাটার প্রভাব বিস্তার করে থাকে। তবে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এর জোয়ার ভাটারও এর কম বেশী হয়।বর্ষাকালে জোয়ার সবচেয়ে বেশী থাকে।

নোয়াখালীর তিনদিকে একটি বিরাট আকারের সমভূমি তৈরি হচ্ছে।মেঘনা নদীর মোহনায় দীর্ঘকাল ধরে  নদীর পলি জমা হয়ে পললভূমির মাটি গঠিত হচ্ছে। হিমালয় থেকে নেমে আসা তীব্র স্রোত উর্বর পলি বহন করে নিয়ে আসে ।যখন এটি বঙ্গোপসাগর পৌঁছায় তখন উপকূল বরাবর দ্রবীভূত হওয়ায় ধীরে ধীরে নতুন ভূমি তৈরি হয় যেগুলোকে আমরা “চর” নাম দিয়ে থাকি। যেহেতু এটি মেঘনার মোহনায় অবস্থিত তাই প্রতিনিয়নত পলি মাটির কারণে এর উর্বরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।ফলে এইগুলো চাষাবাদের জন্য বেশ উপযোগী হয়।

নোয়াখালীর জলবায়ু হলো গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু। বছরের বেশিরভাগ সময়ে এখানে উল্লেখযোগ্য হারে বৃষ্টিপাত হয়। নোয়াখালীতে গড় গড় তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত প্রায় ৩৩০২ মিলি মিটার বা ১৩০ ইঞ্চি।

এই অঞ্চলের মে মাসে সবচেয়ে বেশী উষ্ণতা থাকে।তখন তাপমাত্রা গড়ে ৪৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। আর জানুয়ারি মাস হলো সবচেয়ে বেশী শীতের সময়, তখন গড় তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস হয়। এখন পর্যন্ত জুলাই মাসেই বৃষ্টিপাতের সর্বোচ্চ গড় ৬৭১ মিমি ছিল।