ব্রেকিং:
নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই অবশেষে ন্যাটোর সদস্যপদ পেলো সুইডেন বাজারে নেই নতুন দামের সয়াবিন তেল, দাম বেড়েছে সবকিছুর ভারতে পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৮ কার্গো জাহাজে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩ চলছে কর্মযজ্ঞ, অক্টোবরে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন রাষ্ট্রপতি গার্ডেন থিয়েটার কুমিল্লার একক নাট্য প্রদর্শনী ১০ রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ ইঞ্জিন বিকল, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ রোজায় কমলো অফিসের সময়সূচি গাড়ি তৈরি করবে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ: শিল্পমন্ত্রী পরিবেশ রক্ষায় চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত বাংলাদেশ ও সৌদি আরব
  • মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পছন্দের শিক্ষকের পাঠদান এখন মোবাইলে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২০  

করোনা দুর্যোগে পড়াশোনা নিয়ে বিপাকে পড়া প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য টেলিভিশন ও বেতারে পাঠদানের পর এবার চালু করা হচ্ছে বিশেষ হেল্প লাইন নম্বর-৩৩৩৬। যে কোনো মুঠোফোন অপারেটর থেকে এ নম্বরে ডায়াল করলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছ থেকে তার নিজ শ্রেণির পাঠদান পরামর্শ পাবে। পাঁচ মিনিট পর্যন্ত কলটি হবে টোল ফ্রি। সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই হেল্প লাইন নম্বরে যুক্ত থাকবেন।

বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে এ ধরনের উদ্যোগ এবারই প্রথম। চলতি জুনেই এ কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে। উদ্যোগটি সফল হলে তা কোচিং সেন্টারের বিকল্প হবে বলে মনে করছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্নিষ্টরা। সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের সম্মিলিত উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন এ প্রসঙ্গে সমকালকে বলেন, সংসদ টেলিভিশনের পর বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে প্রাথমিকের পাঠদান প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টেলিভিশনে পাঠদান সম্প্রচারে দেশের ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী উপকৃত হচ্ছে। বাকি ৫০ ভাগ এর বাইরে থাকছে। রেডিওর পাঠদানে আরও স্বল্প কিছু শিক্ষার্থীকে যুক্ত করা যাচ্ছে। তবে মোবাইলের মাধ্যমে অন্তত ৯৮ ভাগ শিক্ষার্থী বা অভিভাবকের কাছে পাঠদান পৌঁছানো সম্ভব হবে। এ কারণেই সরকারের এই হেল্প লাইন চালুর উদ্যোগ।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ গতকাল মঙ্গলবার বলেন, এই হেল্প লাইন এ মাসেই পরীক্ষামূলক চালু করা হবে। এটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক- সবারই কমন প্ল্যাটফর্ম। সরকারের এ উদ্যোগ সফল হলে তা কোচিং সেন্টারের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

মহাপরিচালক জানান, এর আগে স্বাস্থ্যসেবায় ১৬২৬৩ হেল্প লাইন চালু হয়েছে। একই রকমভাবে শিক্ষায় ৩৩৩৬ চালু হচ্ছে। দেশের প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষক এতে নিবন্ধিত হয়ে যুক্ত থাকবেন। এক কোটি ৪০ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থীও যুক্ত হবেন। হেল্প লাইন নম্বরে কল করে শিক্ষার্থীরা পছন্দের শিক্ষক বাছাই করতে পারবে। এর পর তাদের জিজ্ঞাসা ও প্রশ্নের জবাব তারা ওই শিক্ষকের কাছে থেকে পাবে। এটুআইয়ের শিক্ষক বাতায়নে থাকা শিক্ষকরা এতে সরাসরি যুক্ত হবেন। বাকি শিক্ষকদের ও শিক্ষার্থীদের ডাটাবেস আপডেট করে দেওয়া হচ্ছে। মোবাইলে পাঠদান ও পরামর্শ সেবার পদ্ধতি নিয়ে এরই মধ্যে একটি মডিউলও তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে থাকা সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর ওই হেল্প লাইনে যুক্ত করা হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিচিতিও সেখানে থাকছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, হেল্প লাইন ৩৩৩৬-এ কল করে শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির কোনো বিষয়ে সরাসরি পছন্দের শিক্ষকের পরামর্শ নিতে পারবে। এটি দিনরাত ২৪ ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। এখান থেকে প্রাথমিকের সিলেবাস, কারিকুলাম, পরীক্ষা-সংক্রান্ত তথ্য কিংবা প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক অন্যান্য যে কোনো আদেশ, নির্দেশ, তথ্য এবং ফোন নাম্বার পাওয়া যাবে। প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক যে কোনো অভিযোগ কিংবা পরামর্শ থাকলেও এই নম্বরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানাতে পারবে। এ অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত ব্যবস্থাও পরে অভিযোগকারীর মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ হেল্প লাইন কোনো বাণিজ্যিক উদ্যোগ নয়। সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট পর্যন্ত এটি হবে সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় মোবাইল শিক্ষাসেবা। সচেতন অভিভাবকরাও সন্তানের পক্ষে ফোন করে শিক্ষা পরামর্শ নিতে পারবেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ সমকালকে বলেন, এ হেল্প লাইন শুধু করোনাকালীন নয়, এটি স্থায়ী একটি সেবা, যা বছরজুড়েই চালু থাকবে।