ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

নোয়াখালীর শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রয়োজন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

নোয়াখালীর শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে। জেলার শিক্ষা উন্নয়নে আমাদের সর্বস্থরের জনগণকে সাথে নিয়ে একটি পরিকল্পনা নেওয়া জরুরি। জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন মানুষরা এইগুলো নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। আমরা আশা করি আমাদের জেলায় ১০০% শিক্ষার হার করা সম্ভব। তবে এর জন্য প্রয়োজন আমাদের একটি সুষ্ঠ, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। শুধু তাই নয়, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমাদের জেলার সামাজিকভাবে গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নাগরিক কমিটি গঠন করা যেতে পারে। তাছাড়া প্রত্যেক সংসদ সদস্য যদি নিজেদের নির্বাচনী এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে একটি বাৎসরিক পরিকল্পনা গ্রহন করে, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা মুখি করতে পদক্ষেপ নেয় তাহলেও এটি ব্যপক উপকারে আসবে। এর বাহিরের আমাদের নিচের বিষয়গুলোর উপর জোর দেওয়াটা জরুরি বলে মনে করছি।

যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া যায়ঃ

১।  জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে একজন নাগরিক শিশু শ্রেণী থেকে উচ্চশিক্ষা জেলাতেই পায়। অর্থাৎ শহরমুখি না হয়েও উচ্চশিক্ষার শেষ করতে পারে। উচ্চশিক্ষার জন্য একটি সকরকারি /বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য লবিং, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় উদ্ধুত করতে পারলে আমাদের এই উদেশ্র সফল হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠলে আমাদের অনেকগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে

২। মাননীয় সদস্যগণ  নিজ নিজ সংসদীয় এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত মনিটরিং করলে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত হবে।

৩।  নিজ নিজ সংসদীয় আসনের যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানে সরকারি অনুদানে শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করলে ছাত্র-ছাত্রীরা সংস্কৃতিমনা হবে।

৪। মেয়েরা যাতে নির্বিঘ্নে স্কুল-কলেজে যেতে পারে সেজন্য বখাটেদের আড্ডার স্থানগুলো চিহিৃত করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করাটা জরুরি। এতে করে নারীরা শিক্ষা থেকে অকালে ঝরে পড়বে না।

৫। নিজ নিজ আসনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কারচুপি রোধ করে যথাযথ প্রকল্পে ব্যয় নিশ্চিত করতে সংসদ সদস্যরা কাজ করাটা জরুরি।

৬। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যারল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য জেলায় আধুনিক ও মানসম্মত  “পাবলিক লাইব্রেরী”  তৈরি করাটা সময়ের দাবি।

৭। শিক্ষায় উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে প্রাইমারি,জুনিয়র ও সেকেন্ডারি পরীক্ষায় কৃতি ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে “মেম্বার অব পার্লামেন্ট স্কলারশীপ” প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারলে সেটা আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি আলোড়ন সৃষ্টি করবে। যেটি তাদেরকে পড়াশুনায় আগ্রহী করে তুলবে।

৮। নোয়াখালীতে সরকারি ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য জেলার সকল সংসদ সদস্য যৌথভাবে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। তাছাড়া আমাদের সামাজিক ব্যক্তিবর্গ ও সরকারের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ে অবস্থানকারী ব্যক্তিবর্গ এটি নিয়ে কাজ করতে পারে।

৯। মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক হোস্টেল গড়ে তুলতে পারলে অজো পাড়াগাঁ থেকে মেয়েরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য আগ্রহী হবে।