ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

নোয়াখালীর পরিবেশ রক্ষায় করণীয়

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০১৯  

পরিবেশ রক্ষার নোয়াখালীর নীতি নির্ধারনী ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক সচেতন ও বিভিন্ন সংগঠনের উচ্চপদস্থ ব্যাক্তিবর্গের নিকট আকুল আবেদন, আপনাদের সামান্য সহযোগিতায় নোয়াখালী হয়ে উঠতে পারে সবুজ-শ্যামল একটি নগরী।
নোয়াখালীর পরিবেশ রক্ষায় যে পদক্ষেপ গুলো নেওয়া যেতে পারেঃ

(ক) বিদ্যমান বনগুলোকে সংরক্ষণ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

(খ) নিঝুম দ্বীপসহ যে সকল বনাঞ্চল রয়েছে সেগুলো থেকে অবৈধভাবে পশু-পাখি শিকার ও গাছ নিধন বন্ধ করতে জেলা বন কর্মকতাদের নিয়ে নিয়মিত টহল দেওয়ার ব্যবস্থা করলে এই সকল এলাকার পরিবেশ ও প্রাকৃতিক পশু পাখিগুলো রক্ষা পাবে।

গ) ট্রেট্রাপঢের মাধ্যমে নোয়াখালীর দক্ষিণ অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ বন তৈরি করতে পারলে এটি দেশের একমাত্র সৌন্দর্য্য পূর্ণ জেলা হবে।

ঘ) এছাড়া ট্রেট্রাপঢের মাধ্যমে নোয়াখালী জেলার খাল গুলো কে ক্ষয় রোধ, নান্দনিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি ও নৌকা হাউজ করে প্রতি দশ মাইল করে ট্যুরিস্ট স্পট করে ইজারার ব্যবস্থা করলে নোয়াখালীর  সৌন্দর্য্যই অন্য রকম হয়ে যাবে।

ঙ) ফলদ গাছের রোপণ এবং আমাদের সবুজ অর্থনীতি কে মজবুত করার জন্য ফলদ বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম চালু করা ও সেই কার্যক্রম কে ফলপ্রসূ করার জন্য নোয়াখালী জেলার প্রতিটি প্রাইমারি, হাই স্কুল ও সমমানের মাদ্রাসায় “বৃক্ষ বৃত্তি” চালু করা জরুরি।

চ) নোয়াখালীর প্রতিটি বিল ও খালের সাথে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রতিটি পয়েন্টে ছোট্ট ছোট্ট কালভার্ট ও খালের সাথে ছোট ছোট করে রেগুলেটার নির্মাণ করলে জলাশয় এর হাত থেকে নোয়াখালী জেলা রক্ষা পাবে।

ছ) নোয়াখালী শহরে জলাবদ্ধতা নিরসন কল্পে বামনী নদী ও রহমতখালী খালে পাম্প হাউজ বসানোর ব্যবস্থা করা।

জ) নোয়াখালী জেলার প্রতিটি উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে খাল ও উন্মুক্ত বিলে সরকারি ভাবে প্রতি বছর দেশীয় মাছের বাচ্চা উন্মুক্ত করা হলে এবং সেগুলো ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মনিটরিং এর ব্যবস্থা করলে প্রাকৃতিক মাছের আধার বৃদ্ধি পাবে। মানুষ পুষ্টিকর মাছ পাবে।

ঝ) মাছ উম্মুক্ত করলে শুধু হবে না । খালসহ উন্মুক্ত জলাশয় থেকে অবৈধ “বেড়াল জাল” সরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদের দিয়ে নিয়মিত অভিযার পরিচালনা করতে হবে।

ঞ) খাল বা জলাশয়ে নির্মিত সমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। উচ্ছেদ অভিযান শেষে সেগুলোকে আবার পুনরায় মনিটরিং করারটা অন্যন্ত জরুরি।

ট) সকল সড়কের পাশে সরকারি অনুদানে স্থানীয় বাসিন্দারের সহযোগিতায় বৃক্ষরোপন প্রকল্প হাতে নিতে হবে। প্রতি বছর পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃক্ষ রোপন জেলার প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবে।
আমরা আশা করি আমাদের নেতৃবৃন্দ তাদের আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নোয়াখালীর জনগণকে সাথে নিয়ে জনগণের কল্যানে এই পদক্ষেপগুলো নিবে।