ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা ২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে সেতু, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বাহারের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দেখছেন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

নোয়াখালীতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করায় ইমাম ও মাদরাসা শিক্ষককে নির্যাতন

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

নোয়াখালীর হাতিয়ায় পুলিশের সহায়তায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করায় এবার মাদরাসা শিক্ষক ও ইমামকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। আহত ইমাম ও মাদরাসা শিক্ষক জাতীয় হেল্পলাইন ‘৯৯৯’-এ ফোন করে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর বিয়ে বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন।
আহত মাদরাসা শিক্ষক তারিকুল মাওলাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইমাম মিনহাজুল ইসলামকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ-আলম ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান শিকদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, হাতিয়া দারুল আরকাম এবতেদায়ি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন তরিকুল মাওলা। তার মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আক্তার (১৩)-এর বিয়ের উদ্যোগ নেন পরিবার। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি জাতীয় হেল্প লাইনে বাল্যবিয়ের সংবাদ দেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) এই বাল্যবিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা নেন।
এরপর সেদিনই বিকেলে তারিকুল মাওলা এবং স্থানীয় পূর্ব রসুলপুর জামে মসজিদের ইমাম মিনহাজুল ইসলাম একসঙ্গে হাতিয়া বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে পূর্ব রসুল গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে আবদুল কাদের, আবদুল কাদেরের ছেলে মোহাম্মদ আলী মহব্বত, আবদুল জিলানীর ছেলে এনায়েত হোসেন বেচু, সমির উদ্দিন, বাবলু ও কালামসহ ১০-১২ জন তাদের ওপর হামলা চালায়।

একপর্যায়ে হামলাকারীরা তাদের ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে নিয়েই গাছের সঙ্গে বেঁধে তাদের নির্যাতন করে। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও টর্চলাইটসহ নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক তিনটি স্ট্যাম্প ও দু’টি নীল কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরে স্থানীয়রা আহতাবস্থায় তারিকুলকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ-আলম বলেন, বিষয়টি জেনে আমি মামলা করতে বলেছি। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান শিকদার জানান, ওই শিক্ষক থানায় আসার পর তাকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলেছি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।