ব্রেকিং:
গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই অবশেষে ন্যাটোর সদস্যপদ পেলো সুইডেন বাজারে নেই নতুন দামের সয়াবিন তেল, দাম বেড়েছে সবকিছুর ভারতে পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৮ কার্গো জাহাজে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩ চলছে কর্মযজ্ঞ, অক্টোবরে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন রাষ্ট্রপতি গার্ডেন থিয়েটার কুমিল্লার একক নাট্য প্রদর্শনী ১০ রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ ইঞ্জিন বিকল, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ
  • মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

নোয়াখালীতে পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দর

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

নোয়াখালীবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করতে জেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের উত্তর ওয়াপদা বাজার সংলগ্ন এলাকায় পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। আর এই বিমানবন্দর দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন নোয়াখালীবাসী।জেলা কৃষি সম্প্রসারণের অধিদফতরের পূর্বে চর শুল্যকিয়া নামক স্থানে১৯৯৫ সালে সরকারিভাবে একটি বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। বিমানবন্দরটি নির্মাণের জন্য কৃষি অধিদফতর বীজ সংরক্ষণের প্রায় ৪০ একর জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। নির্মাণ সম্পন্ন হয় বিমানবন্দরের রানওয়ের, যেখানে প্রাথমিকভাবে খরচ হয় প্রায় দুই কোটি টাকা। কিন্তু কিছু জটিলতায় সংযোগ সড়ক ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মিত না হওয়ায় বিমানবন্দরের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে। আজ পর্যন্ত ওই বিমানবন্দরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।

সরকারি উদ্যোগে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য শিল্পকারখানা গড়ে না উঠলেও বেসরকারী উদ্যোগে অনেকগুলো এগ্রো বেইজড ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে উঠে এ অঞ্চলে। তাই সাগরতীরের নোয়াখালীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা হলে এ অঞ্চলের শিল্প সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারবে সরকার।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং স্থানীয় সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিনের এ দাবি অবশেষে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় বর্তমান সরকার।
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সিভিল এভিয়েশন অথোরিটির পক্ষ থেকে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি সমীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এভিয়েশন অথোরিটি কোনো ফান্ড না দেয়ায় এ সমীক্ষা কমিটির কাজে বিলম্ব হচ্ছে।

নোয়াখালী জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ধর্মপুর ইউপির উত্তর ওয়াপদা বাজারের পাশে জেলা কৃষি সম্প্রসারণের অধিদফতরের আগের তৈরি রানওয়েসহ বিশাল জায়গায় প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নির্মাণ কাজের পরামর্শক নিয়োগ শেষে সমীক্ষা ও যাচাইয়ের জন্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু ফান্ড না দেয়ায় তারা কাজ করতে পারেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিমানবন্দর সমীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ড. মোহাম্মদ ইউছুফ মিয়া জানান, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি কোনো ধরনের ফান্ড না দেয়ায় আমরা কাজ করতে পারছি না।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ মোট ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি সমীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটি তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার কথা থাকলেও অর্থনৈতিক ফান্ড না থাকায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারিনি।

প্রস্তাবিত জায়গায় পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২২ জুলাই সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামালসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্থান পরিদর্শন করে বিমানবন্দর নির্মাণের ঘোষণা দেন। তিনি বিমানবন্দরের স্থান পরিদর্শনে এসে বলেন, আমি নোয়াখালীর সন্তান হিসাবে নোয়াখালীর জন্য কিছু করার স্বপ্ন ছিলো দীর্ঘদিন।

বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় নোয়াখালী অঞ্চলে প্রবাসীদের হার তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। নোয়াখালীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠিত হলে তারা সরাসরি বিদেশ থেকে নোয়াখালীতেই আসতে পারবে। একই সঙ্গে নিঝুম দ্বীপে বিদেশি পর্যটকরাও আসতে পারবে। এতে তাদের বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হবে না এবং ঢাকার বিমানবন্দরের উপরও চাপ কমে যাবে।

নোয়াখালীর প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী জানান, নোয়াখালীতে বিমানবন্দর এখন আর স্বপ্ন নয় এটা বাস্তব। আমি বারবার বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন করেছি।

নোয়াখালীর ডিসি তন্ময় দাস জানান, নোয়াখালীতে বিমানবন্দর নির্মানের ঘোষণা দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর সম্মতি রয়েছে। জেলাবাসী দ্রুত বিমানবন্দর বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।

তিনি আরো জানান, আমরা বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তত। কিছুদিনের মধ্যে একটি বিশেজ্ঞক টিম আসবে। বিমানবন্দর নির্মাণ হলে নোয়াখালীর অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টে যাবে।