ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জের সন্তান এখন পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২০  

মাত্র চারবছর বয়সে পিতাকে হারিয়েছেন ডা: শিপন। যার পুরো নাম মীর মহিউদ্দিন আহমেদ জাহাঙ্গীর। কিন্তু এসএসসি ফরম ফিলাপের সময় তৎকালীন বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক তার তার নাম ভুলক্রমে জাহাঙ্গীর আলম লিখে ফেলেন। বর্তমান ডা: শিপন জাহাঙ্গীর আলম নামেই পরিচিত। তার বাবার নাম এমএ ফাররাহ। তিনি ছিলেন কাস্টমস অফিসার। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর (রংমালা) ইউনিয়নে এমএ ফাররাহ জন্ম।

রংমালা বাজার থেকে থানারহাট প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় স্বাধীনের পূর্ব এবং পরে কোন আওয়ামী লীগার ছিলো না। এ এলাকার একমাত্র উচ্চ শিক্ষিত এমএ ফাররাহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করতেন। তিনি ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের করাচিতে চাকুরিরত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে রেডক্রসের মাধ্যমে তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। সিলেটে কর্মরত অবস্থায় এমএ ফাররাহ ১৯৭৬ সালে মারা যান। তৎকালীন রাজনৈতিক গোলযোগের কারণে লাশ নোয়াখালীতে আনা সম্ভব হয়নি। মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজ করবাস্থানে দাফন করা হয়। বামনীর বিখ্যাত আলেম মৌলভী আবদুল বাক্কীর সাহেব ডা: শিপনের নানা।

এমএ ফাররাহ যখন মারা যায় তখন ডা: শিপন ছিলেন মাত্র ৪ বছরের শিশু। বাবার আদর-ভালোবাসা বুঝার আগেই হারান পিতাকে। পিতৃহীন সমাজে নানা প্রতিক‚ল অবস্থার মাঝে মায়ের আদর্শ বড় হতে থাকেন ডা: শিপন। ৭ ভাই-বোনের মধ্যে ডা: শিপন ৬ষ্ঠ। ছাত্রজীবন থেকে খুব মেধাবী শিপন বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতি ক্লাসেই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। নবম এবং দশম শ্রেণীতে তিনি ক্লাসে প্রথম ছিলেন। ১৯৮৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বসুরহাট কেন্দ্র থেকে তিনি প্রথম হন। ১৯৮৯ সালে ৮১২ নম্বর পেয়ে ডা: শিপন ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার সুযোগে পেলেও শেষ পর্যন্ত মায়ের ইচ্ছাতে মেডিকেলে ভর্তি হন। মা-বাবার ইচ্ছা ছিল শিপন বড় হয়ে মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখুক। মা-বাবার স্বপ্ন পূরণে শিপন একাগ্রভাবে মেডিকেলে মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করে কৃতিত্বের সাথে ১৯৯৭ সালে এমবিবিএস পাস করেন। ২০০১ সালে ২০তম বিসিএস-এ যোগদান করেন।

২০১৫ সালে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে ফরিদগঞ্জে যোগ দেন। ৩১ অক্টোবর ২০১৯ সালে পটুয়াখালীতে সিভিল সার্জন হিসেবে যোগ দেন। যে মায়ের প্রেরণায় ও আদর্শে ডা: শিপনের বেড়ে ওঠা সেই মমতাময়ী মা আয়েশা ফাররাহ তার সিভিল সার্জন হওয়ার ২৬ দিনের মাথায় পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। মায়ের মৃত্যুতে ডা: শিপন অনেকটা ভেঙে পড়েন। মা-বাবা হারা ডা: শিপন মানবতার সেবার মাঝে খুঁজে পান বাবা-মায়ের স্বপ্ন। নিজে কাজ করে যাচ্ছে আর্ত-মানবতার সেবায়। ডা: শিপন বসুরহাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের আবুল খায়ের (খাজা খায়ের) এর বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস শিল্পীকে বিয়ে করেন। এক ছেলে এবং এক মেয়ের জনক ডা: শিপন ভবিষ্যতে নিজ জন্মস্থান কোম্পানীগঞ্জের মানুষের জন্য কিছু করতে চান।