নব্বই দশকের ছাত্রনেতা বেগমগন্জ্ঞের চেয়ারম্যান প্রার্থী

সময়্টা ১৯৮৭/৮৮ সাল, আওয়ামী লীগের দূর্দিনের কর্মী, স্কুল জীবনে হাতে গোনা কয়েকজন লোক নিয়ে নিষিদ্ধ "জয় বাংলা" শ্লোগান দিয়ে ঝটিকা মিছিল করে জানান দিয়েছিলো জয় বাংলার ক্ষয় নাই মুজিব বাদের মৃত্যু নাই।

এক সময়ের জনপ্রিয় ছাত্র নেতা নব্বইয়ের দশকে নোয়াখালী জেলাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগর অতি পরিচিত মুখ কাজী বেলায়েত হোসেন রাজু, বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক, চৌমুহনী কলেজ ছাত্র লীগের জি,এস, বর্তমানে বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, ৯০'র স্বৈরচার বিরোধী গণআন্দোলন, ৯৬'র অসহযোগ আন্দোলন, ২০০১-০৫ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর বিএনপি জামাতের বিভিষীকার বিরুদ্ধে "সম্প্রতি" (বিভেদ নির্মূলে সামাজিক আন্দোলন) নামক সংগঠন গড়ে তুলে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে সক্রিয় অংশগ্রহন নজিরবিহীন, গনতন্ত্র পূন:রুদ্ধার ও মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে তার শ্লোগান নেতা কর্মী ও সাধারন মানুষজনের মধ্যে স্পৃহা যোগাতো। ৯২ সালে খালেদা জিয়া বিরোধী আন্দোলনে মিছিল থেকে গ্রেফতার হন, ২০০৫'র দীর্ঘ দিন জেলখানায় কেটেছে তার সময়।
বেগমগঞ্জ আওয়ামী লীগের এ নেতা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ মূহুর্তে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।

রাজনীতির পাশাপাশি সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনে তার অবাদ বিচরন ছিলো, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ৪২টি পুরুষ্কার ও সনদ ছাড়াও রয়েছে শ্রেষ্ঠ ফুটবল খেলোয়ারের ট্রফি। 

আওয়ামী পরিবারের সন্তান রাজু, পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জাতীয় শ্রমীক লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম কাজী রুহুল আমিন মাতা নোয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি রেহানা বেগম রেণুর জেষ্ঠ সন্তান রাজুর দীর্ঘ ৩১ বছরের বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ত্যাগের স্বীকৃতি পাবে বলে বেগমগঞ্জ বাসী ধারনা করছে।  আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে একজন ভালো সংগঠকের মূল্যায়ন সময়ের দাবী মাত্র