ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দেশে সাক্ষরতার হার বেড়ে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বছর ব্যবধানে সারাদেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১ শতাংশ। সর্বশেষ হিসাব আনুযায়ী, দেশে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষকে সাক্ষরতার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার। যেখানে ২০১৮ সালে গড় সাক্ষরতার হার ছিল ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ।

‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতার দিবস-২০১৯’ (৮ সেপ্টেম্বর) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এসব তথ্য তুলে ধরবেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের হিসাবে দেশে বর্তমানে ৫০ থেকে ৬৭ বছর পর্যন্ত সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ৭ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত ৭৩ দশমিক ২ শতাংশ। গড় সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ।

গত বছর গড় সাক্ষরতার হার ছিল ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। সে হিসেবে এ বছর সাক্ষরতার হার ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সারাদেশে এখানো ২৬ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ নিরক্ষরতার অন্ধকারে রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বলেন, সাক্ষরতার হার বাড়াতে আমাদের নানা ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে। এ কারণে এ বছর সাক্ষরতার হার এক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, সারাদেশে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সের ২১ লাখ মানুষকে সাক্ষরতার আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এর আওতায় দেশের ১৬টি উপজেলার নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতার জ্ঞান প্রদান করা হবে। এ কার্যক্রম চলতি বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হবে। বর্তমানে বই ছাপানো, প্রশিক্ষণ গাইড তৈরি ও নিরক্ষর ব্যক্তিদের শনাক্তে জরিপ কাজ শুরু হয়েছে।

মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সেকেন্ড চান্স হিসেবে ১০ লাখ শিশুকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেখানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০১৭ সালে পাইলটিং হিসেবে ৬ উপজেলায় ১ লাখ শিশুকে এর আওতায় আনা হয়েছে। পরবর্তীতে ২৫০ উপজেলা ও ১৫টি শহরে পর্যায়ক্রমে আরও ৯ লাখ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।

আন্তর্জাতিক গণসাক্ষরতা উদযাপনে এবার ‘বহুভাষায় সাক্ষরতা উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা’ এ প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে। ১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি নির্ধারণ করা হয়।

১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর এ দিবসটি উদযাপনের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা এবং বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রথম সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন দেশে সাক্ষরতার সার্বিক বিষয় তুলে ধরবেন। পাশাপাশি সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে যে সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেসব বিষয়ও তুলে ধরা হবে।

তিনি আরও বলেন, দিবসটি উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্তকরণ, ক্রোরপত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ, পোস্টার তৈরি, শোভাযাত্রা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, গোলটেবিল বৈঠক ও টেলিভিশনে টকশোর আয়োজন করা হবে।