‘তরুনের সাথে শয্যায় থাকতে বাধ্য করা হয়’

ফেনীর একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়–য়া এক কিশোরীকে (১৪) জোর করে একটি কালো রংয়ের মাইক্রোতে তুলে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের একটি বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই রাতে তাকে (কিশোরী) শহিদুল ইসলাম নামে একজন তরুনের সাথে একই শয্যায় থাকতে বাধ্য করা হয়। এ ভাবেই শনিবার সকালে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কামরুল হাসানের আদালতে ওই কিশোরী ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।

আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড কালে সে (কিশোরী) জানায়, গত বুধবার সকালে সে বাড়ী থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে শহিদুল ইসলামের (২৩) নেতৃত্বে ৩-৪ জন যুবক তাকে জোর করে মুখ চেপে ধরে একটি কালো রংয়ের মাইক্রোতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর সে জানতে পারে সেটি চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার এবং ওই তরুন শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কিশোরীকে তার মায়ের জিম্মায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ ও পারিবারিক সুত্র জানায়, গত বুধবার সকালে সপ্তম শ্রেণিতে পড়–য়া ওই কিশোরীকে বাড়ী থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে সহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৪-৫ জন তার পথ রোধ করে এবং একটি মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ফেনী সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। অপহরণের ৪২ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার কিছমত জাফরাবাদ গ্রামের একটি বাড়ী থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানায়, শনিবার ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে অপহৃত কিশোরীর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় ও গ্রেপ্তার তরুনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরনের সত্যতা নিশ্চিত করেন।