ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস আজ

আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দেশজুড়ে উদযাপিত হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ দিবসের প্রতিপাদ্য সত্য মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে।সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে থাকছে- ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দেশের সব জেলা-উপজেলায় শোভাযাত্রা, সেমিনার, আলোচনা সভা, রচনা-চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা। সকাল ১০টায় রাজধানীর সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ ছাড়া বিকেল ৩টা থেকে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট।

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেছিলেন। ওই দিনটিকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস হিসেবে উদযাপন করছি।

তিনি বলেন, দূরদর্শী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার চালু করে। ওই সময় এক হাজারেরও বেশি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ ছিল না। সেসব ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার চালু করতে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়। শুরুর দিকে আমরা শুনতাম বিদ্যুৎ নেই, উচ্চগতির ইন্টারনেট নেই। বিদ্যুৎ কিংবা ইন্টারনেটের সমস্যা এখন আর নেই। ইতোমধ্যে দেশের তিন হাজার আটশ’রও বেশি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। ডিজিটাল সেন্টার থেকে ১৫০ ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এখন দক্ষ জনশক্তির চাহিদা তৈরি হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা অবকাঠামো উন্নয়নের পর দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে জোর দিচ্ছি। তরুণরা চাকরি খোঁজার পরিবর্তে যেন চাকরি দিতে পারে, এজন্য তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরিতে নানা ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে গত ১১ বছরে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দশ লাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

তবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বৃদ্ধির পাশাপাশি একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইউটিউব প্রভৃতির মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়িয়ে দিতে তৎপর রয়েছে। এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ জন্যই আমরা এবারের স্লোগান দিয়েছি ‘সত্য মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইসিটি সচিব এনএম জিয়াউল আলম, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন, বাক্য সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ প্রমুখ।