ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ডাকসু: ছাত্রীরা যেদিকে, বিজয় সেদিকে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০১৯  

২৮ বছর ধরে বন্ধ থাকা ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে জাতীয় নির্বাচনের মতোই আবহ তৈরি হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের মন বোঝা মুশকিল তাই প্রার্থীরা আছেন মহা টেনশনে। তবে ক্যাম্পাসে এখন একটাই আলোচনা- ছাত্রীরা যেদিকে, বিজয় সেদিকে। 

সব দল মনে করে পাঁচটি ছাত্রী হলের ১৬ হাজারের অধিক ভোটার এবার ডাকসুর ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে। ছাত্র হলগুলোতে ছাত্রলীগ প্রভাব তৈরি করতে পারলেও ছাত্রীদের নিয়ে শঙ্কায় আছে। কয়েকটি হলে ছাত্রলীগের প্যানেল ভোট চাইলে ছাত্রীরা সরাসরি ভোট দেবেন না বলেও জানিয়ে দেন।   

পাঁচটি ছাত্রী হলে আবাসিক-অনাবাসিক মিলিয়ে আছেন প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী। হলে থাকেন ৯ হাজারের মতো, বাকি ৬ হাজার থাকেন হলের বাইরে। হলে থাকেন এমন ছাত্রীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ প্রত্যক্ষভাবে দলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই হিসেবে ১৬ হাজার ছাত্রীর মধ্যে দেড় হাজারও সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়।

ভোটার তালিকা অনুযায়ী, রোকেয়া হলে ভোটার ৪,৫৩০, শামসুন্নাহার হলে ৩,৭৩৭, সুফিয়া কামাল হলে ৩,৭১০, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা হলে ২,২৪৪ এবং কুয়েত মৈত্রী হলে ১৯২০ জন ভোটার। অনাবাসিক ছাত্রীদের মধ্যে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় নেই বললেই চলে। সুতরাং ভোটের ফল নির্ধারণে ছাত্রীরা যে গুরুত্ব ভূমিকা রাখবে এতে কোন সন্দেহ নাই।  

এছাড়া ফল নির্ধারণে আরো ভূমিকা রাখবে ১৩টি ছাত্র হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। যারা সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। এর সঙ্গে আছে অঞ্চলভিত্তিক রাজনীতি। এর বাইরে টিএসসিভিত্তিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরাও ভোটের ফল নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে।  

এদিকে ১৩টি ছাত্র হলে আবাসিক-অনাবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ২৯ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে ১৫ হাজার ছাত্র হলে থাকেন, বাইরে থাকেন ১৪ হাজার। আবাসিক-অনাবাসিক ছাত্রদের মধ্যে বড়জোর ১০-১২ হাজার ছাত্র দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বাকি ১৫ হাজার দলীয় রাজনীতির বাইরে। সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ছাত্রছাত্রীই প্রত্যক্ষভাবে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়। এই নিরব ভোটার নিয়েই শঙ্কায় আছে সব দল বিশেষ করে ছাত্রলীগ।   

কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে প্রার্থী রয়েছেন ৭৩৮ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫ পদের বিপরীতে ২২৯ জন এবং হল সংসদে ১৩টি করে ২৩৪ পদের বিপরীতে প্রার্থী ৫০৯ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ২১ জনের মধ্য থেকে একজন, জিএস পদে ১৪ জনের মধ্য থেকে একজন এবং এজিএস পদে ১৩ জন থেকে একজনকে প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেবেন শিক্ষার্থীরা।

এর বাইরে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯, কমনরুম ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১, সাহিত্য সম্পাদক পদে ৮, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১২, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১০, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৪ জন থেকে একজন করে এবং সদস্য পদে ৮৬ জন থেকে ১৩ জনকে বেছে নেবেন ভোটাররা।

১৮টি হল সংসদে ১৩টি করে ২৩৪টি পদ রয়েছে। আর এই পদের বিপরীতে প্রার্থী রয়েছেন ৫০৯ জন। গড়ে প্রায় ২৯ প্রার্থী রয়েছেন একেকটি হলে। অর্থাৎ হল সংসদে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে ২৯ জনের মধ্য থেকে ১৩ জনকে বেছে নিতে হবে।