ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা ২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে সেতু, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বাহারের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দেখছেন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

খালেদা-তারেকের নাইকো দুর্নীতি: রাষ্ট্রের হাজার কোটি টাকার ক্ষতি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২১  

দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুটপাট ও আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত জিয়া পরিবারের কারণে দেশ-বিদেশে বদনাম হয়েছে বাংলাদেশের। অর্থের বিনিময়ে দেশের সম্পদ বিদেশি তাবেদার শক্তির হাতে তুলে দিয়ে রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতি করেছে জিয়া পরিবার। তাদের জঘন্যতম দুর্নীতির একটি হলো নাইকো দুর্নীতি কেলেঙ্কারি।

জানা গেছে, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি শাসনামলের শেষের দিকে নাইকো দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যান।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। অবশেষে ২০১১ সালে ২৩ জুন কানাডার একটি আদালত খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তার সরকারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসাইনের দুর্নীতি মামলার বিষয়ে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পেয়েছিল।

কানাডার কোম্পানি নাইকোকে অনৈতিকভাবে সুবিধা দেয়ার বিনিময়ে মোশাররফ একটি দামি গাড়ি উপহার পেয়েছিলেন নাইকোর কাছ থেকে, যার আর্থিক মূল্য ছিল কানাডিয়ান মুদ্রায় ১ লাখ ৯১ হাজার ডলার।

নাইকো আরো ৫ হাজার কানাডিয়ান ডলার ঘুষ দিয়েছিল মোশাররফকে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের জন্য। নাইকো বাংলাদেশ থেকে তাদের ঠিক করা দামে গ্যাস কিনতে ও বিক্রি করতে পারবে এবং গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের কারণে সরকারের নির্ধারিত জরিমানা কমানোর শর্তে মোশাররফকে ওই ঘুষ দিয়েছিল।

নাইকো দুর্নীতিসহ গ্যাসক্ষেত্র বিস্ফোরণে দেশের ক্ষতি হয় প্রায় ৯ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। অথচ রাষ্ট্রের ক্ষতিপূরণ আদায়ে অবহেলা করে বিএনপি সরকার।

২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট রিট পিটিশনে (পিটিশন নাম্বার: ৫৬৭৩) এ রায় দেয়। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ, এফবিআই এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সমস্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, ২০০৩-০৬ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রীত্বকালীন সময়ে অনৈতিকভাবে তাদের সুবিধা দেয়ার নামে নাইকোর কাছ থেকে বড় ধরনের ঘুষ লেনদেনের ঘটনা ঘটেছিল।

এদিকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, নাইকো একেবারে নির্লজ্জভাবে ঘুষ দিয়েছিল। নাইকোর এজেন্ট কাশিম শরীফকে ৪ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল এবং ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়ার মাধ্যমে ৫ লাখ ডলার দিয়েছিল।

এসব তথ্যপ্রমাণ রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে। তাদের তথ্যপ্রমাণ প্রমাণ করে, নাইকো তাদের বাংলাদেশি এজেন্টদের সুইস ব্যাংকের মাধ্যমে প্রথমে বার্বাডোজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কাশিম শরীফ এবং সেলিম ভূঁইয়ার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকাগুলো দেন। পরে ওই টাকা চলে যায় তারেকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের অ্যাকাউন্টে।

এই মামলা চলাকালীন সময়েই জিয়া পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে এফবিআইয়ের সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি ডেবরা লাপ্রিভেট গ্রিফিথ বাংলাদেশের কাছে একটি তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। ওই প্রতিবেদনে ছিল, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যেভাবে দুর্নীতি হয়েছিল।