কোয়ারেন্টিনে সিভিল সার্জন ডা:সাজ্জাদ

ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো: সাজ্জাদ হোসেন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুবাইয়াত বিন করিম। এর আগে তিনি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ছিলেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর তিনি দাগনভুঞায় যোগদান করেন। জানা গেছে, ডা. রুবাইয়াত ২৫তম বিসিএসের মাধ্যমে কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন হিসেবে চাকুরীতে যোগ দেন। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তাদের সংস্পর্শে আসায় গত ১০ মে তারও ( সিভিল সার্জন) নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) এ প্রেরণ করা হয়। ১৩ মে রাতে সেখানকার নমুনা প্রতিবেদনে নেগেটিভ আসায় নিশ্চিত হন তিনি করোনামুক্ত। ১৪ মে নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে প্রেরিত প্রতিবেদনে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আরো এক কর্মচারীর করোনা পজেটিভ আসে। এরপরই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন।

সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকায় ডা. রুবাইয়াত বিন করিমকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমন রোধে সকলকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান।

প্রসঙ্গত, জেলার সদর উপজেলায় ২২ জন, পরশুরামে ৬ জন, ছাগলনাইয়ায় ১৩ জন, দাগনভূঞায় ১০ জন, সোনাগাজী উপজেলায় ৭ জন ও ফুলগাজী উপজেলায় ৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পাশ্ববর্তী উপজেলা মিরসরাই্, চৌদ্দগ্রাম ও সেনবাগের ৩ বাসিন্দা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে ১০ জন সুস্থ ও ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

সোমবার পর্যন্ত ১ হাজার ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ থেকে রবিবার পর্যন্ত ৯শ ৬৪ জনের প্রতিবেদন আসে।