ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা ২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে সেতু, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বাহারের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দেখছেন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

কীভাবে বুঝবেন মশা মারার নিরাপদ ওষুধ কোনটি?

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২১  

শীত বিদায় নিয়ে গরম চলেই এলো। এই সময়ে গরম যেমন বাড়ে, সেই সঙ্গে মশার উপদ্রবও বৃদ্ধি পায়। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে সারা রাত মশার যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় প্রায় অধিকাংশ মানুষকেই। সঙ্গে বাড়ে মশাবাহিত নানান রোগবালাইও।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে গত বছরের তুলনায় কিউলেক্স মশার সংখ্যা চারগুণ হয়ে গেছে। তার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মশাবাহিত রোগবালাইয়ের পরিমাণ ও মানুষের ভোগান্তি। যে কারণে মশা তাড়ানোর জন্য পণ্যের ব্যবহারও বেড়েছে। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরণের কয়েল, স্প্রে, ক্রিম জাতীয় পণ্য।

বাংলাদেশে মশার ওষুধ বাজারজাত করার আগে প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্লান্ট প্রটেকশন উইং থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। সংস্থাটি বলছে, দেশে এই মুহূর্তে ৪৫০টির বেশি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরণের মশার ওষুধ পাওয়া যায়। প্রায় ৮০টির মত প্রতিষ্ঠান এগুলো তৈরি এবং আমদানি করে বাজারজাত করছে।

মশা তাড়াতে বাজারে নানা রকম ওষুধ পাওয়া গেলেও, এত পণ্যের ভিড়ে কিভাবে বুঝবেন, কোন পণ্যটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর?

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাশার বলেছেন, ‘যদি দেখা যায় মশা তাড়ানোর জন্য ব্যবহার হওয়া কোনো কয়েল বা স্প্রে বা ক্রিম বা বিশেষ ব্যাট বা মশারি ব্যবহারে ঘরের মশা মরে যায়, সঙ্গে ঘরের অন্যান্য পতঙ্গ যেমন টিকটিকি বা অন্য ছোট পোকা মারা যায়, তাহলে বুঝতে হবে সেটি মানব শরীরের জন্য চূড়ান্ত ক্ষতিকর।’

মশার কয়েল বা স্প্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তার মাত্রা সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দিষ্ট নির্দেশনা আছে। যেমন মশা তাড়ানোর স্প্রে ঘরে ছিটানোর পর সে ঘরে পরবর্তী ২০ মিনিট মানুষকে থাকতে নিষেধ করা হয়। কারণ ওই স্প্রেতে ছড়ানো কীটনাশকের ড্রপলেটস মাটিতে নেমে আসতে ২০ মিনিট সময় লাগবে। ফলে তখন সেখানে মানুষ থাকলে তিনি সরাসরি কীটনাশকের সংস্পর্শে আসবেন, যা তার জন্য ক্ষতিকর।

মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক পদ্ধতি

বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন মশা তাড়াতে কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায় চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে অনেক বছর ধরে মশা তাড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে এমন কয়েকটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে বর্ণনা করা হলো-

>> প্রাচীনকালে মশা তাড়াতে নিমের তেল ব্যবহার করা হত। নিমে মশা তাড়ানোর বিশেষ গুণ রয়েছে। ত্বকে নিম তেল লাগিয়ে নিলে মশা ধারে-কাছেও ভিড়বে না বলে প্রচলিত।

>> বলা হয়ে থাকে মশা কর্পূরের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে কর্পূর দিয়ে রাখলে মশা পালিয়ে যায়।

>> লেবু আর লবঙ্গ একসঙ্গে রেখে দিলে ঘরে মশা থাকে না বলে প্রচলিত আছে। এগুলো জানালায় রাখলে মশা ঘরে ঢুকতে পারবে না।

>> ব্যবহৃত চা পাতা ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে সেটা জ্বালালে চা পাতার ধোঁয়ায় ঘরের সব মশা-মাছি পালিয়ে যাবে। কিন্তু এতে শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।