ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনা চিকিৎসায় যুক্ত হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২০  

দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তদের একটি বড় অংশ বাসা-বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের ধারণা, প্রায় ৮০ শতাংশ রোগী বাসা-বাড়িতে অবস্থান করছে। অন্যরা চিকিৎসা নিচ্ছেন সরকার নির্ধারিত করোনা চিকিৎসার হাসপাতালে। কিন্তু প্রতিদিন যে সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, সে তুলনায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করা মানুষের সংখ্যা অনেক কম।

গত এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক হয়ে পড়ছে। সরকার নির্ধারিত করোনা চিকিৎসার হাসপাতালে আক্রান্ত সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা চিকিৎসাব্যবস্থা সম্প্রসারণের নির্দেশ দেন। এরপর সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, ৫০ এবং তার বেশি শয্যার প্রত্যেকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে হবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন দেশের কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা করে একই হাসপাতালে কভিড ও নন-কভিড রোগীদের পৃথক অংশে রেখে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তাব অনুযায়ী, কভিড ও নন-কভিড রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৫০ শয্যা এবং এর বেশি শয্যাবিশিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কভিড এবং নন-কভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পারসন ও অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান খান সমকালকে বলেন, বর্তমানে করোনা সংক্রমণের পিকটাইম চলছে। সর্বোচ্চ সংক্রমণের এই সময়ে প্রতিদিন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়বে। আক্রান্ত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার বিষয়টি এখানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। এটি বিবেচনা করে ৫০ শয্যা ও তার ওপরের শয্যাবিশিষ্ট দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে সব মানুষকে চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

হাবিবুর রহমান খান আরও বলেন, করোনা সংক্রমণের পর হাসপাতালে বেশকিছু চিকিৎসক-নার্স আক্রান্ত হয়েছেন। কিছু প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটে কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছিল। অনেক হাসপাতালে করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া হাসপাতালে রোগী ভর্তি করতে চাইছিল না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে অন্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের সেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি আদেশ জারি করে সাধারণ রোগীদের সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়তে থাকায় নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫০ শয্যা ও তার ওপরে শয্যা সংখ্যার প্রত্যেকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কভিড ও নন-কভিড জোনে ভাগ করা হবে। এতে করে সব ধরনের রোগী সেবা পাবেন।

করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবায় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের প্রসঙ্গ তুলে ধরে হাবিবুর রহমান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তিনি জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর মাত্র ১০ দিনের মধ্যে দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার ৫৪ জন নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গেলে এক থেকে দুই বছর সময় লেগে যেত। চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করতে তিনি নতুন করে আরও ১ হাজার ২০০ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ১ হাজার ৬৫০ জন মেডিকেল টেকনিশিয়ান এবং ১৫০ জন কার্ডিওগ্রাফার নিয়োগের নির্দেশনা দিয়েছেন। এই ৩ হাজার জনবল নিয়োগের বিষয়ে অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অনুমোদন প্রদান করেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই ফোকাল পারসন আরও বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হিমসিম খাচ্ছে। উন্নত দেশগুলোও আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। উন্নয়নশীল একটি দেশ হিসেবে আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছি। অনেকাংশে আমরা সফলও হয়েছি। কিছুক্ষেত্রে মানুষ হয়ত সমালোচনা করছে এবং সেটি করতেই পারে। তাদের সমালোচনা ও পরামর্শকে আমরা গ্রহণ করেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।

করোনা রোগ নিয়ে গবেষণা ও চিকিৎসার বিষয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, শুধু হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিয়েই কিন্তু আমরা বসে নেই। বেশকিছু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাসের জিনোম সিক্যুয়েন্স (জীবন রহস্য) উন্মোচন করেছে। প্লাজমা থেরাপি নিয়েও কাজ চলছে। এর বাইরে রেমডিসিভিরসহ আরও বেশকিছু ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলে জানান তিনি।