ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে অর্ধলক্ষাধিক চা-শ্রমিক

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২০  

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশ যখন লকডাউনের পথে ঠিক তখন উল্টো পথে নিম্ন আয়ের চা-শ্রমিকরা। করোনার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন হবিগঞ্জের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক চা-শ্রমিক। 
শ্রমিকদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ছুটির জন্য বার বার অনুরোধ জানালেও তা আমলে নেননি তারা।  

এমতাবস্থায় চা-শ্রমিকদের মধ্যে যদি একবার এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় তা হলে এ ভাইরাস রুখতে হিমশিম খেতে হবে স্বাস্থ্য বিভাগকে। এমনটাই বলছেন সচেতন মহল। 

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট, মাধবপুর, বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলায় ছোট বড় প্রায় ২৫টিরও অধিক চা-বাগান রয়েছে। আর এসব বাগানে নিয়মিত কাজ করছেন প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক নারী পুরুষ চা-শ্রমিক। এছাড়াও সব মিলিয়ে জেলায় চা-শ্রমিক পরিবারের সদস্য রয়েছে প্রায় ১ লাখ। যাদের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন চা-বাগানের পরিচর্যা ও চা-পাতা উত্তোলন করা। আর এর আয় দিয়েই তারা সাংসারিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। 

চন্ডিছড়া বাগান ঘুরে দেখা যায়, চা-শ্রমিকরা একে অপরের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা একেবারেই নেই। নেই বিশুদ্ধ পানি দ্বারা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা।  

এ বিষয়ে শ্রমিক সুমিত্রা বাউড়ি বলেন, দিনে যা রোজগার হয় তা দিনেই শেষ হয়ে যায় আমাদের। করোনাভাইরাসের কথা শুনেছি। সরকার যদি আমাদের সহযোগীতা করেন তাহলে আমরা বাড়িতে থাকতে পারতাম। 
 
চা-শ্রমিক নেতা স্বপন সাওতাল বলেন, চা-শ্রমিকরা এমনিতেই অসচেতন ও অবহেলিত।  চা-শ্রমিকরা যদি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তা রোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই মানবিক বিবেচনায় শ্রমিকদের ছুটির প্রয়োজন।
  
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট ইউএনও সত্যজিৎ রায় বলেন, চা বাগান বন্ধ রাখতে এখনো শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে শ্রমিকদের সুরক্ষা দিতে প্রতিটি বাগান কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাদেরকে মাস্কসহ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে।