ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

এনআইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তনসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধানের উপায়

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২০  

দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচয় এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা আবশ্যক। জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার পর অনেকেরই নাম, ঠিকানা, ছবিসহ নানা বিষয় সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে। এসব সমস্যার সমাধানের উপায়ও রেখেছে নির্বাচন কমিশন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের বিষয়ে অজ্ঞ থাকায় নানা জটিলতায় পড়তে হয়। নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচপত্র বিভাগের ওয়েবসাইটে বেশ কিছু প্রশ্ন-উত্তর দেয়া হয়েছে। তা তুলে ধরা হল—

১. কার্ডের তথ্য কীভাবে সংশোধন করা যায়?
উত্তর: এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সংশোধনের পক্ষে উপযুক্ত ডকুমেন্ট আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

২. কার্ডে কোনো সংশোধন করা হলে তার কী কোনো রেকর্ড রাখা হয়?
উত্তর: সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।

৩. ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কী সনদ দাখিল করতে হবে?
উত্তর: জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।

৪. আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কীভাবে তা সংশোধন করা যাবে?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে।

৫. বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ডের ফটোকপি সংযুক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন বিভাগ/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে।

৬. বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। এখন আইডি কার্ড থেকে স্বামীর নাম কীভাবে বাদ দিবো?
উত্তর: বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন বিভাগ/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।

৭. বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি। এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কীভাবে সংযুক্ত করতে পারি?
উত্তর: প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

৮. পেশা পরিবর্তনের জন্য কী করতে হবে?
উত্তর: এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উল্লেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না।

৯. আমার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তনে কী করতে হবে?
উত্তর: এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে। বর্তমান অনলাইনে আবেদন করা যায়।

১০. নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নাম সংশোধন করতে কী দলিল জমা দিতে হবে?
উত্তর. এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সদন, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্‌নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।

১১. নিজের ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সঙ্গে দলিল জমা দিতে হবে?
উত্তর. এসএসসি/সমমান সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/ স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি,ওয়ারিশ সনদ,ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।

১২. পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কী সনদ দাখিল করতে হয়?
উত্তর: পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত সনদ দাখিল করতে হবে।

১৩. ঠিকানা কীভাবে পরিবর্তন/ সংশোধন করা যায়?
উত্তর: শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোনো ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের ফরমে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।

১৪. বয়স সংশোধন করবো কীভাবে?
উত্তর: কার্ডে প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামাণিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

১৫. একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে। কীভাবে তা সংশোধন করা যায়?
উত্তর: সবার কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন বিভাগ/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।

১৬. আমি পাশ না করেও শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদুর্দ্ধ লিখেছিলাম। সংশোধনের উপায় কী?
উত্তর: আপনি ম্যাজিট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি; ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে।

১৭: কার্ডে অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে এসেছে। এ ভুল কীভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তর: ভুল তথ্যের সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত দলিল উপস্থাপন করে জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন বিভাগ/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর সঠিক পাওয়া গেলে সংশোধনের প্রক্রিয়া করা হবে।

১৮. রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভূক্ত বা সংশোধনের জন্য কী করতে হয়?
উত্তর: রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়কৃত ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট দাখিল করতে হয়।

১৯. বয়স/জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া কি?
উত্তর: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। এসএসসি বা সমমানের সনদ প্রাপ্ত না হয়ে থাকলে সঠিক বয়সের পক্ষে সকল দলিল উপস্থাপনপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ডাক্তারি পরীক্ষা সাপেক্ষে সঠিক নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।

২০. স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাই, কীভাবে করতে পারি?
উত্তর: নতুন স্বাক্ষর এর নমুনাসহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে।

২১. আমার জন্ম তারিখ যথাযথভাবে লেখা হয়নি। আমার কাছে প্রামাণিক কোনো দলিল নেই, কীভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২২. একটি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?
উত্তর: এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে কোনো সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না।

২৩. কার্ড হারিয়ে গেছে। কীভাবে নতুন কার্ড পেতে পারি?
উত্তর: নিকটতম থানায় জিডি করে জিডির মূল কপিসহ সংশ্লিষ্ট উপজেল/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে অথবা ঢাকায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

২৪. হারানো আইডি কার্ড পেতে বা তথ্য সংশোধনের জন্য কী কোনো ফি দিতে হয়?
উত্তর: হারানো কার্ড পেতে বর্তমানে কোনো প্রকার ফি দিতে হয় না। তবে ভবিষ্যতে হারানো আইডি কার্ড পেতে/সংশোধন করতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি ধার্য করা হবে।

২৫. হারানো ও সংশোধন একইসঙ্গে করা যায় কী?
উত্তর: হারানো ও সংশোধন একইসঙ্গে সম্ভব নয়। আগে হারানো কার্ড তুলতে হবে, পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে।

২৬. হারিয়ে যাওয়া আইডি কার্ড কীভাবে সংশোধন করব?
উত্তর: প্রথমে হারানো আইডি কার্ড উত্তোলন করে তারপর সংশোধনের আবেদন করতে হবে।

২৭. প্রাপ্তি স্বীকারপত্র/স্লিপ হারালে করণীয় কী?
উত্তর: স্লিপ হারালেও থানায় জিডি করে সঠিক ভোটার আইডি নাম্বার দিয়ে হারানো কার্ডের জন্য আবেদন পত্র জমা দিতে হবে।

২৮. প্রাপ্তি স্বীকারপত্র/আইডি হারিয়ে গেছে কিন্তু কোনো প্রমাণ নেই বা আইডি নম্বর/ভোটার নম্বর/স্লিপের নম্বর নেই, সে ক্ষেত্রে কী করণীয়?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস থেকে ভোটার নাম্বার সংগ্রহ করে জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন বিভাগ/উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে।

২৯. জাতীয় পরিচয়পত্রে নেই কিন্তু তথ্য পরিবর্তিত হয়েছে এমন তথ্যাদি পরিবর্তন কীভাবে সম্ভব?
উত্তর: জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে এ সংক্রান্ত কাগজপত্রাদিসহ আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে বিবেচনা করা হবে।

৩০. জাতীয় পরিচয়পত্রের মান বর্তমানে তেমন ভালো না। এটা কী ভবিষ্যতে উন্নত করার সম্ভাবনা আছে?
উত্তর: হ্যাঁ। স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদানের জন্য কাযর্ক্রম চলমান আছে। এরইমধ্যে বহু জায়গায় স্মার্টকার্ড দেয়া হয়েছে।

৩১. আমি যথা সময়ে ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করতে পারিনি। এখন কী করা যাবে?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে যথাযথ কারণ উল্লেখপূর্বক আবেদন করতে পারেন।

৩২. আমি বিদেশে অবস্থানের কারণে ভোটার নিবন্ধণ করতে পারিনি, এখন কীভাবে করতে পারবো?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে বাংলাদেশ পাসপোর্ট-এর অনুলিপিসহ জন্ম সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, এসএসসি (প্রযোজ্যক্ষেত্রে) সনদ, ঠিকানার সমর্থনে ইউটিলিটি বিলের কপি বা বাড়ি ভাড়া বা হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদের কপিসহ আবেদন করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ফর্মসমূহ পূরণ করতে হবে।

৩৩. আমি ২০০৭/২০০৮ অথবা ২০০৯/২০১০ সালে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেই সময় আইডি কার্ড গ্রহণ করিনি। এখন কীভাবে আইডি কার্ড পেতে পারি?
উত্তর: আপনি আপনার ভোটার রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রদত্ত প্রাপ্তি স্বীকার পত্রটি নিয়ে যে স্থানে ভোটার হয়েছেন সে এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। যদি সেখানেও না পাওয়া যায় তাহলে প্রাপ্তি রশিদে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের মন্তব্যসহ স্বাক্ষর ও সিল দিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে যোগাযোগ করা যাবে।

৩৪. ভোটার তালিকার নামের সঙ্গে বিভিন্ন খেতাব, পেশা, ধর্মীয় উপাধি, পদবী ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কি-না?
উত্তর: ভোটার তালিকার ডাটাবেজে শুধুমাত্র নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন উপাধি বা অর্জিত পদবী তাতে সংযুক্ত করার অবকাশ নেই।

৩৫. কোথা থেকে আইডি সংগ্রহ করা যাবে?
উত্তর: যে এলাকায় ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আইডি সংগ্রহ করা যাবে।

৩৬. আমি বিদেশে চলে যাব। আমার কার্ড কী অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে?
উত্তর: হ্যাঁ। আপনার ক্ষমতা প্রাপ্ত প্রতিনিধির যথাযথ ক্ষমতাপত্র ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Authorization Letter) নিয়ে তা সংগ্রহ করাতে পারবে।

৩৭. কার্ডে ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য দিলে কী হবে?
উত্তর: জেল বা জরিমানা অথবা উভয়দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

৩৮. জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৩ আবার কারো ১৭ কেন?
উত্তর: ২০০৮ এর পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হচ্ছে বা পুনরায় তৈরি হচ্ছে সেসব কার্ডের নম্বর ১৭ ডিজিট হয়ে থাকে।

৩৯. বিভিন্ন দলিলে আমার বিভিন্ন বয়স/নাম আছে। কোনটা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে?
উত্তর: এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদে উল্লেখিত বয়স ও নাম। ভবিষ্যতে ৫ম/৮ম সমাপনী পরীক্ষার সনদ ও গ্রহণযোগ্য হবে। লেখাপড়া না জানা থাকলে জন্ম সনদ,পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ও আবেদন করা যাবে।

৪০. আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে কি ডুপ্লিকেট এন্ট্রি সনাক্ত করা সম্ভব?
উত্তর: হ্যাঁ, সনাক্ত করা সম্ভব।

৪১. এক ব্যক্তির পক্ষে কি একাধিক নামে ও বয়সে একাধিক কার্ড পাওয়া সম্ভব?
উত্তর: না। একজন একটি মাত্র কার্ড করতে পারবেন। তথ্য গোপন করে একাধিক স্থানে ভোটার হলে কেন্দ্রীয় সার্ভারে আঙুলের ছাপ দ্বারা তা ধরা পড়বে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

৪২. নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কী কী কাগজ পত্র প্রয়োজন?
উত্তর: জন্ম নিবন্ধন সনদ, এস,এস,সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), ঠিকানা প্রমাণের জন্য কোনো ইউটিলিটি বিলের কপি, নাগরিক সনদ, বাবা-মা এবং বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর তার্ডের কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, টির নম্বর (যদি থাকে)।

৪৩. আমি খুব দরিদ্র ও বয়স ১৮ বছরের কম। ১৮ বছরের উপরে বয়স দেখিয়ে একটি আইডি পেলে গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরিতে বা অন্য কোথাও চাকরি পেতে পারি। মানবিক কারণে এই পরিস্থিতি বিবেচনা করা যায় কি?
উত্তর: না। ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মানবিক বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই।

৪৪. আমি ভুলে দু’বার রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছি এখন কী করবো?
উত্তর: যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা জানান। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

৪৫. জাতীয় পরিচয়পত্র আছে কিন্তু ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। এরূপ সমস্যা সমাধানের উপায় কী?
উত্তর: অবিলম্বে জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন বিভাগ/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।

৪৬. একজনের কার্ড অন্যজন সংগ্রহ করতে পারবে কি-না?
উত্তর: ক্ষমতাপত্র ও প্রাপ্তিস্বীকার রশিদ নিয়ে আসলে সংগ্রহ করা যাবে।

৪৭. আপনারা বিভিন্ন ফরমের কথা বলেছেন? এগুলো কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তর: জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন বিভাগ/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করা যাবে অথবা www.ecs.gov.bd বা www.nidw.gov.bd থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

৪৮. এসব ফরমের জন্য কোনো মূল্য পরিশোধ করতে হয় কি-না?
উত্তর: না।

৪৯. আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কীভাবে তা সংশোধন করা যাবে?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে।

৫০. বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন বিভাগ/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে।

৫১. আইডি হারিয়ে গেছে। কীভাবে নতুন কার্ড পেতে পারি?
উত্তর: নিকটতম থানায় জিডি করে জিডির মূল কপিসহ সংশ্লিষ্ট উপজেল/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে অথবা ঢাকায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

৫২. আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে কি ডুপ্লিকেট এন্ট্রি সনাক্ত করা সম্ভব?
উত্তর: হ্যাঁ, সনাক্ত করা সম্ভব।

৫৩. এক ব্যক্তির পক্ষে কি একাধিক নামে ও বয়সে একাধিক কার্ড পাওয়া সম্ভব?
উত্তর: না। একজন একটি মাত্র কার্ড করতে পারবেন। তথ্য গোপন করে একাধিক স্থানে ভোটার হলে কেন্দ্রীয় সার্ভারে আঙুলের ছাপ দ্বারা তা ধরা পড়বে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

৫৪. এমন ফরমের জন্য কোনো মূল্য পরিশোধ করতে হয় কি-না?
উত্তর: না।