ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

এক যুগেও পূর্ণতা পায়নি ফেনীর ভাষাশহীদ সালাম স্মৃতি জাদুঘর

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষায় ১৯৫২-এ জীবন দিয়েছিল সালাম, বরকত, জব্বার, রফিক, শফিউল্লাহসহ নাম না জানা অনেকে। তাদের রক্তের বিনিময়েই আজকে মুখে মুখে বাংলা ভাষা। এদের মধ্যে শহীদ আবদুস সালামের বাড়ি ফেনী শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের সালামনগরে (পূর্ব নাম লক্ষ্মণপুরে)। তার স্মৃতি রক্ষায় সেখানে একটি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার এক যুগ পার হওয়ার পরও তা পূর্ণতা পায়নি। জাদুঘরটিতে সালামের একটি ছবি ছাড়া সেখানে তেমন কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই। তাছাড়া স্থাপনাটি দেখভালের জন্য একজন কর্মচারী নিয়োজিত থাকলেও ভবনটি সময়মতো খোলা হয় না। দর্শনার্থীরা তাই হতাশ হয়ে ফিরে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, সালামের বাড়ির পাশে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ১২ শতক জমির ওপর সালাম স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হয়। ২০০৮ সালে ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে জাদুঘরটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এরপর ২০১১ সালে স্থানীয় জেলা প্রশাসক স্থাপনাটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু স্মৃতি জাদুঘর শুধু নামেই। সেখানে শহীদ সালামের কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই। গ্রন্থাগারটিও পুরনো বই দিয়ে সাজানো। পড়ার জন্য কোনো ধরনের স্থানীয় বা জাতীয় পত্রিকাও রাখা হয় না। তাছাড়া জাদুঘর ও গ্রন্থাগারে যাওয়ার রাস্তাটিরও জীর্ণদশা। মাতুভূঞা ব্রিজ থেকে সালাম স্মৃতি জাদুঘরে যাওয়ার প্রধান সড়ক অনেকাংশই নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। ভাষাশহীদ আবদুস সালামের ভাই আবদুল করিম জানান, ভাষাশহীদ আবদুস সালামের কবর চিহ্নিত করা হলেও করা হয়নি নামকরণ। সরকারিকরণ করা হয়নি গ্রন্থাগার ও জাদুঘরটিও। প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি জাদুঘরের পাশে শহীদ মিনারে পুষ্পপস্তবক অর্পণে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আসেন। আর সারা বছর খবর রাখেন না কেউ।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, যাতে অল্প সময়ে রাস্তাটি মেরামত করা হয়। এদিকে অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করে সংকট নিরসনের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার মজুমদার তপন। তিনি বলেন, কর্তব্যে অবহেলার কারণে আগের গ্রন্থাগারিককে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই নতুন গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দেওয়া হবে।